মাওলানা নোমান বিল্লাহ : হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা)-এর বিবরণে পাওয়া যায়। প্রতি শুক্রবার রসুল (স.) একটি খেজুর গাছের নিচে দাঁড়াতেন। খুতবা দেয়ার সময় তিনি সেই গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়াতেন।
আনসারদের এক নারী এটা দেখে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমরা কি আপনার জন্য একটি মিম্বার-মঞ্চ তৈরি করব? নবীজি (স.) বলেছিলেন, আপনারা চাইলে করতে পারেন।
সাহাবায়ে কেরাম রসুলুল্লাহ (স.)-এর জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করলেন। সবাই অবাক হয়ে লক্ষ করল, রসুলুল্লাহ (স.) জুমার খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বারে ওঠার সময় খেজুরগাছটি শিশুদের মতো কাঁদতে লাগল। (বুখারি ৩৫৮৪)
হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, কোনো কোনো সাহাবি গাছের কান্নাকে গর্ভবতী উটের কান্নার সঙ্গে তুলনা করেছেন। কোনো কোনো সাহাবি বর্ণনা করেছেন, গাছটি বাচ্চাদের মতো কাঁদছিল।
নবীজি (স.) তখন মিম্বার থেকে নেমে গাছটির কাছে গেলেন। গাছটিকে তিনি এমনভাবে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন, যেন সেটি একটি শিশু। রসুলুল্লাহ (স.) গাছটিকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আর সাহাবিরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন।
রসুলুল্লাহ (স.) বললেন, গাছটি কাঁদার কারণ এটি আল্লাহর জিকিরের কথা স্মরণ করছে। খুতবা দেয়ার সময় সে তা শুনত। রসুলুল্লাহ (স.) জায়গা পরিবর্তন করে মিম্বারে খুতবা দিয়েছিলেন বলে গাছটি কষ্ট পেয়েছিল। কারণ, রসুলুল্লাহ (স.) আর গাছটিতে হেলান দেবেন না, এর নিচে দাঁড়িয়ে আর খুতবা দেবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।