ধর্ম ডেস্ক : মানবজীবনের স্বভাবজাত পরিচ্ছন্নতা, মানসিক ভারসাম্য ও চারিত্রিক পবিত্রতার অন্যতম উপায় বিয়ে। বিয়ে করার জন্য যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনবী সা: বলেছেন, ‘হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করতে সক্ষম, তারা যেন বিয়ে করে নেয়। কারণ বিয়ে (মানুষের) দৃষ্টি অবনত রাখতে এবং গোপনাঙ্গের হেফাজতে অধিক কার্যকর। আর যে ব্যক্তি বিয়ে করতে অক্ষম, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা তার যৌনক্ষুধাকে অবদমিত করে।’ (মিশকাত)
প্রাপ্ত-বয়স্ক নারী-পুরুষ বিয়ে করার পর নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানানোর প্রচলন রয়েছে সমাজে। বর্তমানে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের খবর জানাতেই শুভেচ্ছা জানানোর হিড়িক পড়ে যায়। সবাই নতুন দম্পতির সুন্দর জীবন কামনা করে দোয়া করেন। রাসুলুল্লাহ সা: নব দম্পতিকে অভিনন্দন জানাতেন, তাদের দাম্পত্য জীবনের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে,
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবাহিত ব্যক্তিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলতেন,
بَارَكَ اللهُ لَكَ وَ بَارَكَ عَلَيْكَ وَ جَمَعَ بَيْنَكُمَا فِيْ خَيْرٍ
উচ্চারণ- ‘বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকা আলাইকা, ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফি খাইরিন’ (তিরমিজি, মিশকাত)
অর্থ : ‘আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তোমাদের উভয়ের প্রতি বরকত নাজিল করুন এবং তোমাদের কল্যাণের সাথে একত্রে রাখুন।’
বিশ্বনবী সা:-এর অনুসরণ-অনুকরণ ও দিক-নির্দেশনায় উম্মতে মুসলিমাও নব-দম্পতির জন্য এ দোয়া করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।