জুমবাংলা ডেস্ক : অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। শত বাধা অতিক্রম করে ঢাকাবাসীর বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এতে খুশির জোয়ারে ভেসেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। আর তাইতো মেট্রোরেলে চড়ে আবেগাপ্লুত হয়ে গলা ছেড়ে গান গাইলেন তিনি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪ মিনিটের দিকে ইলেকট্রিক সুইচ চেপে উন্মোচন করেন প্রায় ২ কোটি ঢাকাবাসীর বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন মেট্রোরেলের ফলক। ফলকের সামনের মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে রোপণ করেন একটি তেঁতুলগাছের চারা। এরপর দুই হাত তুলে শোকরিয়া জানান মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে।
পরে তিনি দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে দিয়াবাড়ি স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করেন।
দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে কাউন্টার থেকে টাকা পরিশোধ করে প্রথম যাত্রী হিসেবে ই-টিকিট কেনেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই মেট্রোযাত্রার জন্য দ্বিতীয় টিকিট কাটেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
১টা ৩৫ মিনিটে ই-টিকিট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী ছোট বোনের সঙ্গে ছবি তোলেন। এ সময় সরকারপ্রধানকে দেখা গেছে পরম মমতায় শেখ রেহানাকে ই-টিকিটের আদ্যোপান্ত বুঝিয়ে দিতে।
ই-টিকিট পাঞ্চ করে ১টা ৩৬ মিনিটে মেট্রোরেলের স্টেশন প্ল্যাটফর্মের উদ্দেশে সফরসঙ্গীদের নিয়ে রওনা হন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে ১টা ৩৮ মিনিটে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান।
এর মাত্র ১ মিনিট পরই, প্ল্যাটফর্মে প্রস্তুত থাকা মেট্রোরেলকে চলার সংকেত দিতে সবুজ পতাকা হাতে তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী। ১টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং সরকারপ্রধান পতাকা নেড়ে সবুজ সংকেত দিলে যাত্রা শুরু করে বহু কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল। সম্পন্ন হয় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
১টা ৪২ মিনিটে সংকেত দেয়া সবুজ পতাকায় নিজের নাম স্বাক্ষর করেন সরকারপ্রধান। এরপর ১টা ৪৫ মিনিটে প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করা মেট্রোরেলের প্রবেশদ্বার খুলে যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। বাংলাদেশ গড়ার কারিগর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের ভবিষ্যৎ খুদে শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রান্তিক মানুষ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকসহ ২০০ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রবেশ করেন মেট্রোরেলের ভেতরে। এরই সঙ্গে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে।
ট্রেনে আসন গ্রহণের আগে বাকি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ২টা ২ মিনিটে পরিবারের সদস্য বোন রেহানার পাশের সিটে বসেন সরকারপ্রধান।
এ সময় একটি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে প্রধানমন্ত্রীর গান গাওয়ার দৃশ্য। তিনি অনেকটা আবেগাপ্লুত ছিলেন। তিনি ঠিক কোন গানটি গাইছিলেন, সেটা শোনা না গেলেও তার লিপসিং দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি গাইছিলেন।
সবশেষ দুপুর ২টা ১০ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী মেট্রো ট্রেন। এর এক মিনিট পর স্টেশনে পা রাখেন সরকারপ্রধান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।