আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল। এরমধ্যে রয়েছে সেখানে একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো। ওই বাহিনীতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের সেনারা। এভাবে হামাসের হাত থেকে আস্তে আস্তে গাজাকে বের করে আনতে চায় পশ্চিমা দেশগুলো। এই আলোচনার বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল গাজায় অভিযান চালানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু এই অভিযান ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর জন্যেও ব্যাপক রক্তক্ষয়ী হতে পারে। কারণ গাজার মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীকে ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে হামাস যোদ্ধারা। ফলে তাড়াহুড়া করে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিকল্প চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। দ্বিতীয় আরেকটি অপশনের কথাও ভাবা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে, ১৯৭৯ সালে মিশর-ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী গাজায় এই দুই দেশের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা।
আর তৃতীয় আরেকটি অপশন ভাবা হচ্ছে- যেখানে গাজাকে জাতিসংঘের অধীনে দিয়ে দেয়া হবে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এখনও এই আলোচনা প্রাথমিক ধাপে রয়েছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার একটি সিনেট প্যানেলকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজার ভবিষ্যত নিয়ে বেশ কয়েকটি অপশনের কথা যাচাই করে দেখছে। তিনি বলেন, হামাস আবারও গাজা শাসন করবে, এটা আমরা আর দেখতে চাই না। গত মাসে একাধিকবার ইসরাইল সফর করেছেন ব্লিঙ্কেন। আগামী সপ্তাহে তিনি আবারও যাচ্ছেন দেশটিতে।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরাইল একাধিকবার জানিয়েছে, তারা গাজা শাসন করতে চায় না। কিন্তু একইসঙ্গে তারা হামাসের শাসন মেনে নিতেও রাজি নয়। আবার পশ্চিম তীরের দায়িত্বে থাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও গাজা শাসনের বিষয়ে কখনও আগ্রহ দেখায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।