‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কোন আয়না ঘর নেই- আছে ফুলবাগান’

Hotel Intercontinental

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর অভিজাত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কোন আয়না ঘর নেই- আছে ফুলবাগান। হোটেলটির কজন কর্মচারি নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচাতে এ ধরণের গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টায় লিপ্ত। এমনই অভিযোগ করেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন সমিতি।

Hotel Intercontinental

শনিবার হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. মহসীন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন কবীর সহসভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক কুমার, ফরহাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মুক্তার হোসেন ও সামির আলফ্রেড সহ অন্যান্যরা।

হোটেলের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্বে দুর্নীতি,অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নুরুজ্জামান নামের একজন কর্মচারি নেতা যেভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন সেগুলো খন্ডন করে সভাপতি মো.মহসীন বলেন, এখন মানুষকে ঘায়েল করার নতুন হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে আয়নাঘর নামক শব্দটি।

আয়নাঘরের নাম শুনলেই মানুষ আতকে ওঠে। অথচ এমন একটি মারণাস্ত্র শব্দ ব্যবহার করে হোটেলের সুনাম নষ্ট সহ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলছেন বিআইসিসি থেকে চাকুরিচ্যুত কর্মচারি নেতা নুরুজ্জামান। এই হোটেলটি একটি বহুজাতিক অপারেটর দ্বারা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত করে মুনাফা করছে। বাস্তবে এখানে কোন আয়না ঘর নেই আছে ফুলের বাগান।

এই নুরুজ্জামান গত ৫ আগষ্ট দুপুর পর্যন্ত মুজিব কোট গায়ে বৈষম্যবিরোধা ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্বে হোটেলের লবিতে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছে। সরকার পতনের সেদিন বিকালেই সেই নুরুজ্জামান সাদা পাঞ্জাবি গায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে যায়। বিগত সরকারের সময় মুজিব কোট গায়ে নানা অপকর্ম করা ওই নেতা হঠাৎ অতি বিপ্লবী সেজে এখন প্রতিনিয়ত হোটেলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।

ইন্টারকন্টিনেন্টালের চাকুরিচ্যুত কর্মচারিদের সংগঠিত করে গত সপ্তাহে হোটেলে ঢুকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। হোটেল টপ ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্বে আনীত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মো.মহসীন বলেন, এটা আদৌ ঠিক নয়। বরং বর্তমানে যারা এখানকার শীর্ষ পদে আসীন, তারা সবাই অত্যন্ত দক্ষ, নিষ্ঠাবান পেশাদার ও নীতিবান। মূলত তাদের সততা ও কর্মদক্ষতার দরুণ হোটেলটি আজ সবার কাছে এত জনপ্রিয়।