লাইফস্টাইল ডেস্ক : সন্তানের জন্যে অভিভাবকদের নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তই কি সঠিক হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, ‘হ্যাঁ। আবার কারও কারও মতে এর উত্তর ‘না’। আর এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। সন্তান বড় হলে ববা-মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ বাড়তে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটে। আরএই সময়ে বাবা-মা রেগে গিয়ে সন্তানকে ছোট বড় কথা বলে বসেন!
তাঁরা ভুলে যান যে, তাঁদের ছেলে বা মেয়ে এখন বড় হয়েছে এবং তাঁদেরও আত্মসম্মান জ্ঞান রয়েছে। ফলে এভাবেই বাবা-মায়ের প্রতি অভিমানের পাহাড় জমে সন্তানের মনে এবং এক সময় তাঁরা পরিবারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়! আপনিও এমন কোনও ভুল করছেন না তো। অজান্তেই সন্তানকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। বরং নিজের ভুল বুঝে নিয়ে সময় থাকতে থাকতেই সন্তানকে কাছে টেনে নিন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য়ে করবে এই প্রবন্ধ।(
আমি তোমার মুখ দেখতে চাই না
সন্তান কথার অবাধ্য হলেই অনেক বাবা-মা নিজের মতামত তাঁর উপর চাপিয়ে দিতে চান। কিন্তু তাঁরাও ভুলে যান যে, ছেলে বা মেয়ে বড় হয়েছেন এবং তাঁদেরও নিজস্ব মতামত তৈরি হয়েছে।
তাই কথা কাটাকাটি হতে হতে এক সময় বাবা-মা বলে দেন যে, ‘তোমার মুখ দেখতে চাই না!’ কিন্তু সত্য়িই কি সন্তানকে এই ধরনের কথা বলা ঠিক? তাঁকে না দেখে আপনি থাকতে পারবেন? এর উত্তর যদি ‘না’ হয়, তবে এবার থেকে এই ধরনের কথা আর বলবেন না।
আমাদের জীবন নষ্ট করছ
বহু অভিভাবক নিজেদের মনে মধ্য়ে নানা অশান্তি অজান্তেই চাপিয়ে দিতে চান সন্তানের উপরে। তাঁর উপরেই এর দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকী সন্তানকে একথা বলতেও পিছপা হন যে তাঁদের জীবনে সব কিছু খারাপ হওয়ার পিছনে ছেলে-মেয়েরাই দায়ী! এই ধরনের কথা সন্তানকে না বলাই ভালো। বরং, নিজের জীবনের সমস্য়া মেটানোর চেষ্টা নিজেই করুন। তার দায় অন্য কারও উপর চাপিয়ে দেবেন না।
তোমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই
সন্তানকে এই ধরনের কথা বলার আগে বারবার ভাবুন! ভুলে যাবেন না যে, তিনিও বড় হয়েছেন। তাঁর নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও রয়েছে। অভিভাবক হিসেবে আপনার তাঁকে গাইড করাই দায়িত্ব। তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে শেখান। আর তা না করে যদি এমন ধরনের নেতিবাচক কথা বলেন, তাহলে সন্তানের মন ভেঙে যেতে পারে। সেটা আপনি চান না নিশ্চই?
ভুলে যাবেন না, বাবা-মায়ের এই কথাগুলোই ছেলে-মেয়েকে ভিতর থেকে ভেঙে দেয়। প্রতি মুহূর্তে কুড়েকুড়ে খায়, এক সময় পরিবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
তুমি কিছু পারো না
এই কথাটি অধিকাংশ বাবা-মাই সন্তানকে অনেক সময়েই বলে থাকেন! কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে ভুল কথা আর কিছু হয় না বললেই চলে। কারণ বারবার এমন নেগেটিভ কথা শুনলে এক সময় সন্তানের আত্মবিশ্বাস এক্কেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে, যা নানা ভাবে তাঁদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আপনিও ভুলে যাবেন না যে, আপনার সন্তান একজন মানুষ। তিনি যেমন জীবনে কিছু পাবেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্যর্থও হবেন। সেই সময়ে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা টেনে তাঁকে এমন নিচু দেখানো মোটেই কাজের কথা নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।