লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিপাক হার ভালো হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ করে থাইরয়েড হরমোন, যা নির্ভর করে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতার ওপর। যদি এই গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করে, তখনই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন কম বা বেশি নিঃসরণ হলে বোঝা যায় রোগী থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন। এতে করে কখনো ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে, আবার কখনো মারাত্মকভাবে কমেও যেতে পারে। এছাড়াও শরীরে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতা।
থাইরয়েড দুই ধরনের হতে পারে— হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম। হাইপোথাইরয়েডিজমে সাধারণত ওজন বাড়ে এবং হাইপারথাইরয়েডিজমে ওজন কমে যায়। এছাড়া ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ, ঘন ঘন সর্দি-কাশি, শুষ্ক ত্বক, এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা যায়।
এই রোগের চিকিৎসায় নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও কিছু ভেষজ উপাদানের কথা বলা হয়েছে, যা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
ভারতের খ্যাতনামা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক সুমিত সুর বলেন, “থাইরয়েড একটি মেটাবলিক ডিসঅর্ডার। তাই আয়ুর্বেদ এমন কিছু খাদ্যের পরামর্শ দেয়, যেগুলো বিপাক হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।”
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, হলুদ, অশ্বগন্ধা, কাঞ্চন, গুগ্গুল এবং শতমূলীর মতো ভেষজ উপাদান থাইরয়েডের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। অশ্বগন্ধা কর্টিসল হরমোন বা স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করে। বিশেষ করে যাঁদের হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে, তাঁদের জন্য অশ্বগন্ধা অত্যন্ত উপযোগী। একইভাবে হলুদ প্রদাহ কমাতে ও লিভারের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ভেষজ উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে থাইরয়েড সমস্যাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।