ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথায় স্বস্তি মিলবে কলায়, কিভাবে খাবেন?

Uric Acid

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ইউরিক অ্যাসিড বাড়তির দিকে। সেই ভয়ে কেউ টম্যাটো খাচ্ছেন না। কেউ আবার ঢ্যাঁড়শ দেখলে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে আবার সাহস করে সব রকম সব্জিই খাচ্ছেন। কিন্তু সব্জির ভিতর থেকে নিখুঁত ভাবে দানা ফেলে দিয়ে। কিন্তু তাতেও কি লাভ হচ্ছে? চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন গেলেই ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড অস্থিসন্ধির উপর জমতে শুরু করলে তা ক্রিস্টালে পরিণত হয়। আর সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। কিডনিতে পাথর হওয়ার নেপথ্যেও ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা রয়েছে।

Uric Acid

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত প্রোটিন খাওয়া এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা— মূলত এই দু’টি বিষয় মাথায় রাখলেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যদি লাগামছাড়া হয়ে ওঠে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতেই হবে। পাশাপাশি রোজের ডায়েটে যদি কলা যোগ করা যায়, তা হলেও কিন্তু উপকার পাবেন।

কলায় কী এমন রয়েছে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাকা কলায় ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। আর এই উপাদানটি ইউরিক অ্যাসিডের যম। এ ছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন এবং ‘পিউরিন’ নামক একটি খনিজ। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এই দু’টি উপাদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

কী ভাবে, ঠিক কোন সময়ে কলা খাবেন?
অন্য কোনও সমস্যা না থাকলে যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তাঁরা দিনে দু’-তিনটি কলা খেতে পারেন। সকালে জলখাবার খাওয়ার পরে কলা খেয়ে নিতে পারেন। অথবা স্মুদি হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খালি পেটে কখনওই কলা খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, হালকা কিছু খাবার খাওয়ার পর কলা খেতে হবে।