আবির হোসেন সজল, লালমনিরহাট : তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প তিস্তাপাড়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং এটি ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না পাওয়ারের কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের ওপর অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সময় তিস্তা নদীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে এসেছি যখন এখানকার মানুষ জমিভিটা সম্পদ হারিয়েছে। এজন্য আমরা শুনতে এসেছি এখানকার মানুষের কথা। তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বাণিজ্যিক প্রকল্প তাই এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। যে প্রকল্পে মানুষের উপকার হয় সে প্রকল্পে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গৌণ এবং এ প্রকল্প পরিবেশে জন্য ক্ষতিকর হবে না।’
হান কুন আরও বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তিস্তাপাড়ের মানুষের আবাদি জমি পুনরুদ্ধার হবে এবং তারা এসব জমিতে ফসল ফলিয়ে শান্তিতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।’
সভার শুরুতে প্রকল্পের ওপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন পাওয়ার চায়নার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মকবুল হোসেন। চায়না পাওয়ার তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পের অধীনে কী কাজ করবে সে বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার চায়না, নদী আন্দোলনে যুক্ত নেতা, রাজনৈতিক নেতা, তিস্তাপাড়ে ভাঙন ও বন্যাকবলিত ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তাপাড়ে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মাগুরার শিশুটির অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
এর অংশ হিসেবে ৯ মার্চ গাইবান্ধা, ১০ মার্চ রংপুর ও ১১ মার্চ লালমনিরহাটে মতবিনিময় করল পাওয়ার চায়না কোম্পানি। আগামীকাল ১২ মার্চ বুধবার নীলফামারী এবং ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।