আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক কিছু পড়েছেন। এই জাহাজটি ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন বন্দর থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে তার প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। মাত্র ৪ দিন পরে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল একটি আইসবার্গের সাথে প্রবল সংঘর্ষে জাহাজটি দুই টুকরো হয়ে আটলান্টিকের অতলে ডুবে যায়।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন, এটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক দুর্ঘটনা। প্রায় ৭০ বছর পর টাইটানিকের খোঁজ পাওয়া যায়, যা ৪ কিলোমিটার জলের গভীরে পড়েছিল। ১৯৮৫ সালে রব ব্যালাড এবং তার দলবল আবিষ্কার করে।
বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ১১০ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। এর ধ্বংসাবশেষ ২৭ বছর আগে পাওয়া যায়। তাহলে এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে এই প্রযুক্তির যুগে কেন উদ্ধার করা গেল না। প্রথমত, জাহাজটি প্রতিকূল পরিবেশে রয়েছে আর দ্বিতীয়ত অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে।
জাহাজের ধ্বংসাবশেষ যেখানে পড়ে রয়েছে চারিদিকে শুধুই অন্ধকার। জলের প্রবল চাপের পাশাপাশি তাপমাত্রাও ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, কারও পক্ষে এত গভীরে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন অবস্থায় এখান থেকে ধ্বংসাবশেষ বের করে আনা তো দূরের কথা, অসম্ভবও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ এখন সাগরে দ্রুত গলে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সম্পূর্ণ গলে যাবে। সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া দ্রুত টাইটানিকের লোহা খেয়ে ফেলছে, যার কারণে তাতে মরিচা পড়ছে।
খবর সূত্রে জানা গেছে, এই সামুদ্রিক ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রতিদিন প্রায় ১৮০ কেজি ধ্বংসাবশেষ খায়। এমতাবস্থায় টাইটানিকের অস্তিত্ব খুব একটা বাকি নেই, তাই এর ধ্বংসাবশেষ বের করেও কোনো লাভ হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।