লাইফস্টাইল ডেস্ক : অপরিকল্পিত গর্ভধারণ এড়াতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ইমার্জেন্সি পিল। এতে নানা বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে বাড়ছে নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকিও। তৈরি হচ্ছে সন্তানের ‘ডাউন সিনড্রোমে’ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিতত্ত্ব বিভাগের ডাউন সিনড্রোম-সংক্রান্ত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় ইমার্জেন্সি পিলের ব্যবহারে নারীর জিনগত পরিবর্তনের প্রমাণ মিলেছে। কারণ, বারবার ওই ওষুধ নেওয়ায় ডিম্বাশয়ে নানা প্রতিক্রিয়া হয়।
এতে জিনগত পরিবর্তন ঘটে, যা সরাসরি গর্ভজাতের ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ এই পিল ব্যবহারকারী এক নারী বলেন, প্রতিদিন কনট্রাসেপ্টিভ পিল খাওয়া ঝামেলার বিষয়। তাই ইমার্জেন্সি পিলের ওপর নির্ভর করেছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ তো হলোই না, উল্টো লম্বা সময়ের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ি।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মী এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বহু নারী এখন নিয়মিত জন্মবিরতিকরণ ওষুধের পরিবর্তে ইমার্জেন্সি পিলে ঝুঁকছেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য আনুযায়ী, বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কনট্রাসেপ্টিভ পিল, কনডম, দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ইনজেকশন, ইন্ট্রাইউটেরিন ডিভাইস (আইইউডি), ইমপ্ল্যান্ট, স্থায়ী পদ্ধতি ও ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে অন্য পদ্ধতির তুলনায় ইমার্জেন্সি পিলের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব জন্মনিরোধ দিবস। পরিকল্পিত পরিবার গঠন ও জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিকল্পের শক্তি (দ্য পাওয়ার অব অপশনস)।’
অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) তথ্য বলছে, দেশে অপরিকল্পিত গর্ভধারণের হার অনেক বেশি; প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। সংস্থাটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, এই ওষুধ নিলে অনিয়মিত মাসিক, লিভারের সমস্যাসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মেরি স্টোপস বাংলাদেশের লিড অ্যাডভোকেসি মনজুন নাহার বলেন, ইমার্জেন্সি পিল কখনোই নিয়মিত ওষুধের বিকল্প হতে পারে না। যখন-তখন এটা খেয়ে ফেলা ঠিক না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।