জুমবাংলা ডেস্ক : প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে টয়লেটের কমোডে সন্তান প্রসব করেন সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক মা। বিষয়টি তিনি প্রথমে বুঝতে না পারলেও তার সঙ্গে থাকা আত্মীয় কমোডে কিছু একটা পড়ে যেতে দেখেন। পরে হাসপাতালের টয়লেটের পাইপ কেটে নবজাতককে উদ্ধার করে নবজাতকের বাবা।
শনিবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় প্রসূতি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নবজাতকটি পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী উপজেলার গণমান শেখপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নেয়ামত উল্লাহ ও শিল্পী বেগম দম্পতির সন্তান। নেয়ামত উল্লাহ ও শিল্পী বেগম দম্পতির চার বছর বয়সী আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নেয়ামত উল্লাহ পেশায় একজন জেলে।ৎ
নবজাতক ও তার মা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, উদ্ধার করা নবজাতককে বিশেষ সেবা ইউনিটে (স্ক্যান) ও তার মা প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নবজাতকের বাবা নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আমার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় প্রথমে তাকে স্বরূপকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু অবস্থা ভালো না দেখে তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এখানে এনে ভর্তি করালেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। শেষে ডাক্তার সিজারিয়ানের সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে অপারেশনের ওষুধ কিনতে বললে আমি সেগুলো আনতে যাই। ওষুধ নিয়ে ফিরে এসে দেখি, টয়লেটে অনেক লোকজন ভিড় করে আছেন। আমার আত্মীয়-স্বজনরা কান্নাকাটি করছেন।
তিনি আরও বলেন, লোকজন বলাবলি করছিল আমার স্ত্রী টয়লেটেই সন্তান প্রসব করেছে। হাসপাতালের একজন আমাকে টয়লেটের মধ্যে হাত দিতে বলেন। আমি পুরো হাত ঢুকিয়ে দিয়েও কিছু পাইনি। কান দিয়ে শুনি টয়লেটের পাইপের মধ্য থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে। হাসপাতালের লোকজন বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছে। আমি অপেক্ষা করিনি। কারণ মেয়ে পড়েছে আমার। আমাকেই তাকে বাঁচাতে হবে। কারও অপেক্ষা না করে দ্রুত দোতলায় গিয়ে টয়লেটের পাইপ ভেঙে আমার সন্তানকে তার মধ্য থেকে বের করে নিয়ে আসি।
এসময় নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, প্রসব বেদনায় সে টেরই পায়নি কখন টয়লেটের কমোডে সন্তান প্রসব হয়ে গেছে। আর তার সঙ্গে থাকা আমার আত্মীয় বিষয়টি না দেখলে হয়তো মেয়েকে পেতামই না।
তারাহুরা করে দিল্লি বিমানবন্দরে ছুটে বেড়াচ্ছেন আলিয়া! হতবাক মানুষের ভিড়
তিনি বলেন, কমপক্ষে পৌনে দুই ঘণ্টা মেয়েটি টয়লেটের পাইপের মধ্যে ছিল। কীভাবে বেঁচে ছিলো? কীভাবে অত খানি গেল সেটাই বুঝতে পারছি না। তারপরও সবার কাছে দোয়া চাই যেন আমার মেয়ে সুস্থ হয়ে বড় হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল বলেন, ঘটনার পর পুরো হাসপাতালে জানাজানি হয় টয়লেটের পাইপে শিশু পড়ে গেছে। আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।