জুমবাংলা ডেস্ক : ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে।)’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন ৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও জনপ্রিয় ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল। তার এই দাবি রেখেছেন ফ্যান-ফলোয়াররা।
সুশান্ত পালের আলোচিত সেই পোস্টের নিচে তিনি নিজেই কমেন্ট করে জানিয়েছেন সেই খবর। জানিয়েছেন ভালবাসাও। তিনি কমেন্টে লিখেছেন, ‘মাত্র ১২ হাজারের মতো ফলোয়ার কমল! আমি মন থেকেই চাই, সংখ্যাটা ১ লক্ষ ছাড়াক। আনফলো করতে থাকুন অনুগ্রহ করে। আগাছা কমুক। আই লাভ ইউ।’ কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে সুশান্ত যখন পোস্ট দেন সেসময় পেজে ফলোয়ার ছিল ১.৮ মিলিয়ন (১৮ লাখ)।
পোস্টের কমেন্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে দেখলাম খুব ম্যাসিভ আকারে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আমার হাসি পাচ্ছে, কেননা যে-বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সাথে আমার বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। আপনারা কী কারণে এভাবে একজন লোককে ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন, আমার কাছে তা অস্পষ্ট। নিশ্চয়ই আপনারা ক্যান্ডিডেট নন, আপনারা কেবলই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার ব্যাপারে আগ্রহী। ভুল তো আপনাদের নয়, আমার। কখনও বিনা পয়সায় বাঙালির উপকার করতে নেই। আপনাদের বোধোদয় হোক।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে সুশান্ত পাল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আন্দোলনকারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য সে আলোচিত স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেছেন, কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে।) এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও লিখেছেন, এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই। এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন।
“আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।”
তবে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েও ক্ষান্ত হননি তিনি। কমেন্টে দিয়েছেন অনেকের রিপ্লাইও।
ওই পোস্টেরই কমেন্টে সুশান্ত কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে লেখেন, ‘তোমাদের তো কোটা নিয়ে এত দুঃখ থাকার কথা নয়। তোমরা তো এমনিতেই চাকরি পাবে না— কোটা থাক না থাক; আরে ভাই, প্রিলিমিনারিই তো পাশ করতে পারবে না! লজ্জাশরম ও পড়াশোনা থাকলে নিশ্চয়ই এখানে পড়ে থাকতে না।’
৬ জন হেভিওয়েট বাঙালি নায়িকা, যারা ক্যামেরার সামনে পোশাক খুলে ফেলেন
এর আগে ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য ও কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ সালে এই কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে সেই সময় বলা হয়েছিল, সুশান্ত পাল নামের ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিকভাবে অবমুক্ত করা বা স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। একই সাথে তার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আদেশ দেওয়া হয়েছিল প্রজ্ঞাপনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।