জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিতে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি জাহাজগুলো নিরাপদে বার্থিং, আনবার্থিং ও শিফটিং কাজে সহায়তার জন্য প্রায় ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় সংগ্রহ করা দুইটি টাগবোট দেশে পৌঁছেছে।
চীনে তৈরি দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৫০০০ বিএইচপি/৭০ টন বোলার্ড পুলের ‘কাণ্ডারী-৩’ ও ‘কাণ্ডারী-৪’ নামের টাগবোট দুইটি বুধবার (১৫ জুন) বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে বলে একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
রাতে টাগবোট দুইটি বন্দরের বহির্নোঙরে থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বন্দরের জেটিতে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ লক্ষ্যে বন্দরের ১ নম্বর বার্থের নবনির্মিত সার্ভিস জেটিতে টাগবোট দুইটির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন টাগ দুইটির অপারেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বন্দরের নৌ বিভাগের ২০ জন মাস্টার, লস্কর, ইডিএল, ইডি নিয়ে ডেক সাইড ও ইঞ্জিন সাইডের টিম তৈরি করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সভাকক্ষে গত ১৪ মার্চ টাগবোট দুইটি সংগ্রহের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, CHEOY LEE SHIPYARDS LTD এর লোকাল এজেন্ট ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মেজর (অব.) মো. সেরাজুস সালেকিন, নির্বাহী পরিচালক মো. মহিবুল্লাহ মোর্শেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (প্রকৌশল), ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপ-সংরক্ষক, ক্যাপ্টেন মো. ফরিদুল আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক, হারবার মাস্টার, ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল ইসলাম, ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. আবু সুফিয়ান, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন মো. মোস্তাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলক বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা, চট্টগ্রাম বন্দর/মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিগুলোতে অধিক সংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই টাগবোট সংগ্রহ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বড় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপদ বার্থিং, আনবার্থিং সহায়তা প্রদান, নতুন বাস্তবায়নাধীন বে-টার্মিনাল এবং মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় মাতারবাড়ী টার্মিনালের অপারেশনাল কাজে সহায়তা প্রদান, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজগুলোর নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধিকরণ, বহির্নোঙর এবং সমুদ্র এলাকায় রেসকিউ কার্যক্রম পরিচালনা করা, বাণিজ্যিক জাহাজে অগ্নিনির্বাপণ সহায়তা প্রদান, নদী ও পরিবেশ দূষণবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সহায়তা প্রদান করা, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ- সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করা ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টাগ চবক নৌ বহরে যুক্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যা ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং রাজস্ব আদায়ে বিশাল অবদান রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।