জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় দীপ্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের পরিবারের দায়ের করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রবিউল আলম রবি অন্যতম আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত।
পরিবারের অভিযোগ, জমির মালিক হিসেবে নিহত তামিমের বাবা প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজের সাথে একটি ভবন নির্মাণের চুক্তি করেন, যার অধীনে তাদের পাঁচটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল। তবে, ডেভেলপার কোম্পানি শুধু দুটি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছে এবং একটি ফ্ল্যাট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুনের শ্বশুরের কাছে বিক্রি করেছে। এই ফ্ল্যাট বিতরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রুহুল কবির খান বলেন, “প্রাথমিকভাবে বিএনপি নেতা রবির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার সাথেও এ বিষয়ে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।”
পুলিশ আরও জানায়, মামুন ছাড়াও প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজের কর্মী আব্দুল লতিফ, কুরবান আলী, মাহিন, মোজাম্মেল হক কবির ও বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের ওপর হামলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিসি রুহুল কবির। তিনি আরও বলেন, “আমরা অপরাধকেই দেখছি, অপরাধীকে নয়। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, বরং যাদের বিরুদ্ধে দায় প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএনপি নেতা রবির সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।