জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে দুই দালালকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে শহরের শেখের ভিটা এলাকার পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পাসপোর্ট অফিসে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারিও দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সোহেল মিয়া ও বাপ্পী। তারা জামালপুর শহরের জুগিরঘোপা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে রোমান নামের এক দালালকে আটক করেন। পরে তার সহায়তায় দালাল সোহেল মিয়া ও বাপ্পীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের নিকট থেকে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তথ্য পান। তবে দালাল রোমানের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক রিশান মাহমুদ বলেন, সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধে আজ সকাল থেকে আমরা পাসপোর্ট অফিসে খোঁজ নিতে আসি। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য পাই। পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার তার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনের জন্য ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন। পরে আটক দুইজনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দালালদের যোগসাজশে জামালপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে চতুরতার সঙ্গে দুর্নীতি করেন কর্মচারী-কর্মকর্তারা। এ ছাড়া পুরো কার্যালয়ে নেই কোনো সাহায্যকেন্দ্র। শিক্ষার্থীরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ারি দেন, অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন পাসপোর্ট অফিসে সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দেব। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়টি সঠিক নয়। আবেদনকারীরা আমার কাছে এলে আমি শুধু তাদের আবেদন গ্রহণ করি ও পাসপোর্ট বিতরণ করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।