জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে আবারও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার সাহরির পর এ সংঘর্ষ শুরু হলে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও ১০/১২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মোট ২৩ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৪ মার্চ বিরাসার গ্রামের বড় গোষ্ঠীর আল আমিন একই গ্রামের সাহেব বাড়ি গোষ্ঠীর মহিদ মিয়া ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে। এ নিয়ে গ্রামের বড় গোষ্ঠী ও সাহেব গোষ্ঠীর লোকজন দুদিনে কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আহত হয় ৫০ জন। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙ্গচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২টি ঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস বলেন, ‘ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে আটক করেছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগের সংঘর্ষের ঘটনায় দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ৪ মামলা হয়। এসব মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।