জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর ও সরাইলে পৃথক সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকালে বাঞ্চারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউপির শান্তিপুর ও বিকেলে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউপির ধামাউড়া (ইমামবাড়ি) গ্রামে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাঞ্চারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউপির শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সফু সরকারের বাড়ির সঙ্গে আজগর আলী সরকার বাড়ির বিরোধ চলছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে বুধবার সকালে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, বল্লম, টেঁটা, ছুরি ও লাটিশোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন। আহতদের পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউপির ধামাউড়া গ্রামের ইমামবাড়ি এলাকায় খুরশীদ মিয়ার ছেলে শরীফের বাড়ির ৮ শতাংশ জায়গা নিয়ে একই এলাকার মতর মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়ার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। বুধবার একই ঘটনার জেরে শরিফের বড় ভাই আংগুর মিয়া ও হোসেন মিয়ার চাচাতো ভাই নওয়াব মিয়া, মারফত আলী ও আম্বর আলীসহ দুইপক্ষের লোকজন দা-লাঠিসোঁটা ও ফলা-বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, শান্তিপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা নরসিংদী জেলাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেলে পূর্ব বিরোধের জেরে দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এর আগেও সরাইল থানায় একটি মামলা আছে। কোনো বাড়িঘর ভাঙচুর বা লুট হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।