জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে কুষ্টিয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সঙ্গে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বিত্তিপাড়া গ্রামে বছরের পর বছর ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। যা প্রায়ই সংঘর্ষে রূপ নেয়। যার একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও অন্যপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।
সম্প্রতি গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর মধ্যেই ঈদের দিন নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রুপের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। হোসেন মেম্বার গ্রুপের সমর্থক মিন্টু বিশ্বাস বলেন, হাতাহাতির ঘটনার পরপরই গ্রামের ব্রিজের ওপর বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরবর্তীতে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন।
এদিকে, বক্কার গ্রুপের সমর্থক কামাল হোসেন জানিয়েছেন, আহত যোয়াদ মন্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকেসহ আহত সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ওসি (তদন্ত) তারেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বিত্তিপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।