জুমবাংলা ডেস্ক : দিনে ভয়াবহ দাবদাহ। রাত ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসে ঘন কুয়াশা। দেখে মনে হবে যেন শীতের ভোর। উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলায় আবহাওয়ার এমন বিচিত্র রূপ লক্ষ করা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।
চৈত্র-বৈশাখ মাসে এমন ঘন কুয়াশা আগে কখনো দেখেনি এ অঞ্চলের মানুষ। এতে মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক ও কৌতূহল। অসময়ে কুয়াশা পড়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বোরো চাষিরা।
তবে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, কুয়াশা দেখে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বায়ুমণ্ডলে তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত থাকে। রাত যখন ভোর হয় তখন ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়ে যায়। ওই সময়টাতে বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারণ করতে না পারায় তা কুয়াশা আকারে ভেসে বেড়ায়।
উপজেলার কদমতলা গ্রামের মো, নাসির হোসেন, উত্তর রাজাপুর গ্রামের আলম মোল্লা, মোফাজ্জেল হোসেনসহ কয়েকজন বোরো চাষি জানান, অসময়ে এমন কুয়াশা তারা আগে কখনো দেখেননি। তারা একেকজন তিন-চার বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। বেশির ভাগ গাছে শীষ বের হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা পড়ায় তারা চিন্তায় পড়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, আগে উপকূলীয় এই অঞ্চলে এমন কুয়াশা দেখা যায়নি। কুয়াশা দীর্ঘ সময় ধরে পড়লে বোরো ফসলে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
অসময়ে ঘন কুয়াশা পড়ার কারণ জানতে চাইলে মোংলা বন্দর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, উপকূল অঞ্চলে প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ কুয়াশা পড়ার খবর পাচ্ছি। রাত ৩টার পর থেকে কুয়াশা পড়া শুরু হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দিনে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত থাকে। ভোররাতের দিকে শীতল হতে থাকে ভূপৃষ্ঠ। এই সময় ভূপৃষ্ঠের ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। তখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় তা কুয়াশা আকারে ভেসে বেড়ায়। তিন-চার দিনের মধ্যে আবহাওয়ার এমন অস্বাভাবিক অবস্থা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।