লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান যে সময়টা চলছে- তাতে ডায়েরিয়া, ফুসকুড়ি, চুলকানির মতো নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হানা দেয় শরীরে। সেই সাথে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রবল। গরমে ঘাম জমে সাধারণত ফোঁড়া হয়। শরীরের যেসব স্থানে বেশি ঘাম জমে, সেখানেই এই ধরনের অবাঞ্ছিত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শরীরে কোনো স্থানে হঠাৎ ফুলে লাল হয়ে যাওয়াকেই ফোঁড়া বলা হয়। সেই সাথে প্রচণ্ড ব্যথাও থাকে। কারো আবার ফোঁড়া হলে জ্বরও আসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কয়েক দিন ভোগানোর পর ফোঁড়া নিজে থেকেই সেরে যায়।
ফোঁড়া হওয়ার নেপথ্য কারণ মূলত জীবাণুর সংক্রমণ। শরীরের কোনো স্থানে যদি ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে, সেখান থেকেই ফোঁড়ার জন্ম হয়। শরীরের যে অংশে আর্দ্রতা বেশি এবং যেখানে অতিরিক্ত ঘাম হয়, সেই স্থানগুলোতেই ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গিয়ে এমন হয়। এছাড়া যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রেও ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ডায়াবিটিস, ক্যানসার কিংবা কিডনির কোনো ক্রনিক সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন ফোঁড়া হওয়ার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ফোঁড়া হলে দ্রুত সেরে উঠতে যেসব সুরক্ষা নেবেন?
১) শরীরের যে অংশেই ফোঁড়া হোক, নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন। কোনো ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফোঁড়া কমাতে যাওয়ার চেষ্টাও করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২) ফোঁড়া হলে সুতির হালকা পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা জরুরি। নিয়মিত গোসল করুন। ব্যবহৃত পোশাক আবার না কেচে পরবেন না। অন্তর্বাসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
৩) ফোঁড়া হলে সুগন্ধিযুক্ত কোনো সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। তাছাড়া বাজারের সাধারণ কোনো ক্রিম, সুগন্ধিও এড়িয়ে চলুন। বরং নিমপানিতে গোসল করতে পারেন। উপকার পাবেন। আবার গোসলের পানিতে এক ফোঁটা ডেটলও দিতে পারেন।
৪) সারা বছর যারা বেশি ঘামেন, গরমকালে চেষ্টা করুন ঠান্ডা পরিবেশে থাকার। গরমে এমনিতে বেশি ঘাম হয়। তার ফলে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা আরো বাড়ে। বাইরে থেকে ফিরে গোসল করে নিন। সাথে রুমাল কিংবা তোয়ালে রাখুন। ঘাম হলেই মুছে নেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।