জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন ঈদুল আজহায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত উড়াল সড়ক! প্রায় দেড় টন ওজনের উড়াল সড়ককে বিক্রি করা হবে ১৫ লাখ টাকায়। বিশাল দেহ আর নজর কাড়া রং। চলনে-বলনে আভিজাত্য। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি থেকে হাওরের বুক চিরে মিঠামইন উপজেলা পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে উড়াল সড়ক। এর নামেই আদর করে ষাঁড়ের নাম রাখা হয় উড়াল সড়ক।
দৃষ্টিনন্দন আর তেজোদ্দীপ্ত উড়াল সড়ককে দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। এক হাজার ৪০০ কেজি ওজনের এই ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে, ১৫ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার খয়রত গ্রামে ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার খামারে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরম মমতায় বেড়ে উঠছে ‘উড়াল সড়ক’। সেখানে আরাম-আয়েশে যেন রাজার হালেই দিন কাটছে তার। ১২ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার উড়াল সড়কের ওজন এক হাজার ৪০০ কেজি। প্রাকৃতিক খাবারই প্রিয় চার বছর বয়েসি উড়াল সড়কের।
সাদা-কালো বর্ণের ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ কেজি দানাদার খাবার ও সবুজ ঘাস ছাড়াও দিতে হয় আপেল ও কলাসহ পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকার খাবার দিতে হয় তাকে। ষাঁড়টির মালিক ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খামারের পাশ দিয়েই উড়াল সড়কের কাজ শুরু হচ্ছে। তাই উড়াল সড়কের নামে ষাঁড়টির নাম রেখেছি। তিনি বলেন, ১৫ লাখ টাকায় উড়াল সড়ককে বিক্রি করতে চাই। দরদাম হচ্ছে। বনাবনি হলে বিক্রি করে দেব।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠছে উড়াল সড়ক। এবারের ঈদে এটি ভালো দামে বিক্রি হবে বলে মনে করেন, করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের হিসাবে এবার কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৩টি পশুর চাহিদার বিপরীতে কুরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯৬টি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।