লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকেই উঠেই হাতের আঙুল ভাঁজ করতে পারছেন না? কিংবা পায়ের আঙুলে অসহ্য ব্যথা? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তাহলে হতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণই দেখা দিয়েছে আপনার শরীরে। রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো তরুণ তুর্কিদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও আজকাল আর খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। এদিকে সময় থাকতেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে বাড়তে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। সেক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে মিলবে সুফল।
ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় পিউরিন নামক এতটি উপাদান থেকে। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সম্ভাবনা বাড়ে। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রেড মিট। যাঁরা নিয়মিত রেড মিট খান তাঁদের শরীরে দ্রুত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে চিংড়ি, কাঁকড়া এসব সিফুড খাওয়া চলবে না। এছাড়াও মুসুর ডাল, মটর ডাল, ছোলার ডাল, পালং শাক, ফুলকপি, মাশরুম খানিকটা নিয়ম করে খেতে হবে। বাদ দিতে হবে যে কোনও বাজার চলতি প্রক্রিয়াজাত খাবারও।
বাজারে যে সব ঠান্ডা পানীয় পাওয়া যায় তার মধ্যেও ফ্রুক্টোজের পরিমাণ অত্যাধিক থাকে। যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে অ্যালকোহলও সচেতনভাবে বাদ দিতে হবে। অধিকাংশ মানুষের ধারণা থাকে, ওয়াইন আর বিয়ার খেলে শরীরের তেমন কোনও ক্ষতি হয় না। আদপে তা ঠিক নয়। বরং এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি হয় বিয়ারে। এতে পিউরিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে।
বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যায়। তবে শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এমন খাবার খাওয়া চলবে না, যাতে ওজন বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল।/
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।