আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৃষিতে লোকসানের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকেরা এখন পর্যটন ও এয়ারবিএনবির দিকে ঝুঁকছেন। তাঁরা নিজেদের খামারে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ভ্রমণ, খেলাধুলা ও রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করছেন। দেশটির কৃষি অর্থনীতির অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে কৃষি পর্যটন এখন প্রচুর রোজগারের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা মহামারির সময় কৃষি পর্যটনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শহরবাসীরা শান্ত সময় কাটানোর জন্য খামারগুলোতে ভিড় করতে শুরু করেন। এরপর থেকে এই খাত আরও সম্প্রসারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকেরা খামারে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা যোগ করছেন, যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারেন।
উইসকনসিনের কৃষক ব্রিট থম্পসন তাঁর খামারে হাইল্যান্ড গরু, আইসল্যান্ডিক ভেড়ার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ রেখেছেন। পর্যটকেরা তাঁর খামারে এসে গ্রামীণ জীবন উপভোগ করেন। তিনি বলেন, ‘গরু ও ভেড়া বিক্রি করে যা আয় হতো, তার তুলনায় পর্যটন থেকে আয় অনেক বেশি।’
ইলিনয়ের হিপস জায়ান্ট পাম্পকিন ফার্ম শস্য চাষের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য ভুট্টা ক্ষেতের গোলকধাঁধা (কর্ন মেজ), কুমড়া তোলা ও খড়ের গাড়ির চড়ার ব্যবস্থা করেছে।
নর্থ ক্যারোলাইনায় ক্যাথরিন টোপেল তাঁর শূকর খামারে এয়ারবিএনবি কেবিন ও ক্যাম্পসাইট ভাড়া দিয়ে বছরে লক্ষাধিক ডলার আয় করছেন। তিনি বলেন, ‘কেবল চাষাবাদ করে পারিবারিক খামার টিকিয়ে রাখা কঠিন। পর্যটন খাত আমাদের রক্ষা করছে।’
কৃষি পর্যটনশিল্প এখন ৪৫০ কোটি ডলারের বাজার। ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, কিছু খামার বছরে ১০ লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মও কৃষিতে নতুনত্ব আনতে আগ্রহী। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রায়ান পেশ বলেন, ‘তরুণরা খামারজীবনকে হতাশাজনক মনে করে না, বরং উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখে।’
কৃষকদের মতে, কৃষি পর্যটন শুধু আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যই দিচ্ছে না, বরং খামারমালিকানাও টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছে।
সোর্স: রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।