লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম ভালো হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমে ব্যঘাত হলে দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব থাকে। ফলে কাজে সমস্যা হয়। অনেকেরেই আবার মাথাব্যথা করে। এসব সমস্যা থেকেই বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেসব কারণে ঘুম ভালো হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান সময়ে ঘুম ভালো না হওয়ার নানা কারণের মধ্যে অন্যতম মোবাইল ফোন। ঘুমানোর আগে প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বিছানায় বালিশের কাছেই ফোন রাখেন তারা। যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। বিছানায় ফোন রেখে ঘুমানো মোটেও নিরাপদ নয়। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট পরামর্শ প্রদান করা ওয়েবসাইট সাইট হেলথ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
ঘুমে ব্যঘাত: গবেষণায় ফোন এবং স্ক্রিন ব্যবহারকে সার্কেডিয়ান রিদম বা প্রাকৃতিক ঘুম চক্রের ব্যঘাতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত একপি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিছানায় যাওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ফোন ব্যবহার ঘুমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে অল্প বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে।
মেলাটোনিনের মাত্রা, হরমোন ক্লান্ত করে তোলে মানুষকে। যা ঘুমাতে যাওয়ার আগে বৃদ্ধি পায়। স্ক্রিনের নীল আলোর ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। ভালো ঘুমের জন্য যা করণীয় তা করতে হবে আপনাকে। ঘুমানোর আগে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। কেননা, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দিনের বেলায় নানা সমস্যা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যথেষ্ট ঘুম না হওয়া কিংবা নিম্নমানের ঘুমের কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এমনকি ক্লান্ত করে তুলতে পারে আপনাকে।
আগুন বা পোড়ার ঝুঁকি: এমনটা সাধারণত হয় না, বা হলেও সংখ্যায় খুবই কম এ ধরনের ঘটনা। এরপরও সতর্ক থাকা উচিত। কেননা, ফোনের ব্যাটারি থেকে বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে। বিছানায় ফোন রেখে ঘুমালে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকে। এ ধরনের বিস্ফোরণ থেকে শরীরে ফোস্কা, ব্যথা, শরীর ফুলে যাওয়া থেকে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।
মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব: ফোনের নীল আলো কেবল ঘুমকে ব্যাহত করে না। পাশাপাশি মানসিকতায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ফোন ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে অনিদ্রার হারও ক্রমশ বেড়ে চলছে। এ জন্য ব্যবহারকারীকেই সচেতন হতে হবে যে, কীভাবে তিনি ডিভাইসের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করবেন।
স্মার্টফোন হচ্ছে তথ্যের সীমাহীন উৎস্য। এ জন্য নিজেকে বিবেচনা করতে হবে, ফোন থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এবং যেকোনো পরিস্থিতি উস্কে দেয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।