বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মোটরসাইকেল যতই ঝকমকে হোক না কেন তার মাইলেজ যদি বেশি না হয় তাহলে দিনের শেষে সব টাকা মাটি। অনেকেই এমনটা মনে করেন, বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন অনেকটা পথ বাইক চালাতে হয়। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যে হারে তেলের দাম বেড়ে চলেছে তাতে যদি 20-25 লিটার মাইলেজ দিয়ে বাইক হাঁফিয়ে যায় তাহলেই সমস্যা। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু খেয়াল রাখলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
বাজাজ অটো তাদের গ্রাহকদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ভাগ করেছে। সংস্থাটি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও সেই তথ্য জানিয়েছে। এই সংস্থার মতে, সার্ভিসিং, টায়ার প্রেশার সহ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই ভালো মাইলেজ পেতে পারেন আপনি।
কার্বুরেটর সেটিংস
নিয়মিত সার্ভিসিংয়ের পরেও যদি মনে হয় মাইলেজ বাড়ছে না তাহলে কার্বুরেটর সেটিংস চেক করতে হবে। বৈদ্যুতিক ভাবে অথবা ম্যানুয়ালি যদি কার্বুরেটর রি-টিউন করা হয় তাহলে মাইলেজে চমৎকার বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। এই কাজের ফলে ইঞ্জিন তার কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে এবং বাইকের জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
কিল সুইচ ও টায়ার প্রেশার
অনেক ট্রাফিক সিগন্যালে এক মিনিটেরও সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এমতাবস্থায় যদি আপনি দেখেন যে 30 সেকেন্ডের বেশি দাড়িয়ে থাকতে হবে তাহলে তখন কিল সুইচটি ব্যবহার করুন এবং ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন। এই ভাবে জ্বালানি সঞ্চয় করতে পারবেন।
এটির পাশাপাশি টায়ার প্রেশার চেক করতে হবে। প্রত্যেক টায়ারের চাপ আলাদা হয়। তাই লং ট্রিপের আগে বা লম্বা দূরত্ব-এ যাওয়ার আগে পেট্রল স্টেশনে টায়ারের প্রেশার চেক করে নিন।
পরিষ্কার ও লুব্রিকেট
কথায় আছে ক্লিন বাইক ইজ এ ফাস্ট বাইক। তাই মোটরবাইকের আকার ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি বাইক পরিষ্কার করার সময় লুব্রিকেট করা উচিত। আপনি যদি বহুদিন ধরে বাইকের চেইনে তেল দিয়ে না থাকেন তাহলে সেটিতে ধুলো-বালি জমে যায় এবং জমাট বেধে যায় ফলে চেইন ঘোরার সময় প্রয়োজনীয় শক্তি পায় না।
বাজার থেকে কেনা পণ্য
বাইক মডিফাই করার সময় অনেকেই বাজার চলতি পণ্য কেনেন। কিন্তু তা কি করা উচিত? বাজাজ অটো-এর মতে। মোটরবাইকে শুরু থেকেই যে পার্টসগুলি থাকে তা বাইকের ইঞ্জিন ক্ষমতা মানানসই ব্যবহার করা হয়। বাইকের গঠন বুঝেই উপযুক্ত পার্টসগুলি লাগানো হয় তাই মডিফাই করার পর বাজার চলতি পণ্যগুলি বাইকের মাইলেজ কমিয়ে দিতে পারে।
তেলের মান
বাইক কেনার সময় যেমন তার গুণমান যাচাই করেন তেমনই তেল ভরার সময় তার গুণমান জানা উচিত। জ্বালানিতে যদি ভেজাল থাকে তাহলে তা বাইকের মাইলেজ তো কমিয়ে দেয় পাশাপাশি বাইকের ইঞ্জিনও খারাপ করে দেয়। তাই সেরা ইঞ্জিন পারফরম্যান্সের জন্য ভালো মানের জ্বালানি বেছে নিন।
সার্ভিসিং
সঠিক সময় অন্তর বাইক সার্ভিসিং করা দরকার। কারণ এটি মাইলেজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সার্ভিসিং শুধু ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য উন্নতি করে না বরং আপনার বাইকের গড় আয়ুও বাড়িয়ে দেয়। ইঞ্জিন ত্রুটিপূর্ণ থাকে এবং মাইলেজ সবসময় বেশি পাওয়া যাবে। তবে এই সার্ভিসিং যদি আপনি বিলম্ব করেন তাহলে অবশ্যই বাইকের ইঞ্জিন অয়েল চেক করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।