আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারী বর্ষণ, বজ্রপাত, ঝড়ে ভেঙে পড়া পরা গাছের আঘাত এবং বাড়িঘরের ছাদ-দেওয়াল ধসে ভারত ও নেপালে গত ৩ দিনে নিহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এছাড়া প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বিস্তর।
এককভাবে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে। গত তিন দিনে বজ্রপাতে বিহারের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে রাজ্যের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তেজস্বী বলেন, “বিহারে গত তিন দিনে যারা ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছের আঘাত এবং বাড়িঘরের ছাদ-দেওয়াল ধসে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।”
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশের রাজ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, গত তিন দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ২২ জনেরও বেশি। মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডেও বজ্রাপাতের কারণে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নেপালের সংবাদমাধ্যম রাইজিং নেপাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বজ্রপাতের শিকার হয়ে দেশটির বাজুরা জেলায় গত তিন দিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। নিহতদের মধ্যে একজন শিশুও আছে।
ভারত-নেপাল-বাংলাদেশ-পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুম শুরু হয় জুন মাসে থেকে। শীতের শেষে মার্চ থেকে মে’ মাস পর্যন্ত সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া থাকে।
তবে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ইন্ডিয়ান মেটেয়োরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (আইএমডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বর্তমানে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে— তা সেই তাপপ্রবাহেরই প্রভাব।
সূত্র : আরব নিউজ, ডেইলি সাবাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।