জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল হোসেন নামে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিহত তোফাজ্জল বরিশাল বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফজলুল হক মুসলিম হলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে সংগঠিত অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য নিম্নলিখিত কমিটি গঠন করা হলো। উপরোক্ত বিষয়ে অদ্য সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
কমিটিতে আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরকে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, অধ্যাপক ড. শেখ জহির রায়হান, জনাব মো. মাহাবুব আলম আবাসিক শিক্ষক, ড. আছিব আহমেদ, ড. এম এম তৌহিদল ইসলাম এবং এ. কে. এম. নূর আলম সিদ্দিকী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।
এর আগে, গত বুধবার দিবাগত রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে ঐ যুবককে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটকের পর তাকে কয়েক দফা পেটানো হয়। রাতে হলের ক্যানটিনে বসিয়ে তাকে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর আবারো মারধর করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে টিম শাহবাগ থানা তোফাজ্জলকে নিলে হাসপাতালে নিতে বলে, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ.ণ.পি.টু.নি.তে হ.ত্যার ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী
নিহত তোফাজ্জল হোসেনে বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলাতে। প্রেমঘটিত কারণে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। বাবা-মার পর একমাত্র ভাইকে হারিয়ে মানসিকভাবে আরো ভেঙে পড়েন তোফাজ্জল। বরিশাল বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলেও মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে কোনো কাজকর্ম করছিলেন না বলে জানিয়েছেন নিহতের বন্ধু বেলাল গাজী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।