আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচির বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা অমান্য করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে নারীও রয়েছেন।
রোববার ‘সিন্ধ রাওয়াদারি মার্চ’-এ অংশগ্রহণকারীরা করাচি প্রেস ক্লাব ও টিন তালওয়ারসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
টিভি ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করছে এবং তাদের আটক করছে।
করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে বিক্ষোভকারীরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় চার পুলিশকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।
করাচি দক্ষিণের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সৈয়দ আসাদ রেজা সাংবাদিকদের জানান, ‘এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে নারীও রয়েছেন।’
এদিকে, করাচি পুলিশ গভর্নর হাউসের কাছে একটি ধর্মীয় সংগঠনের বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং প্রেস ক্লাবের দিকে যাওয়া সব রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও টিন তালওয়ারের কাছে ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে নারীও রয়েছে।
অন্যদিকে, মেট্রোপোল হোটেলের কাছে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করে এবং একটি পুলিশ ভ্যানেও আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গেছে।
সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঞ্জার জানান, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের জন্য কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে এবং যারা আইন লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, করাচি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: জিও নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।