জুমবাংলা ডেস্ক : ভূমির যেসব সুবিধা বর্তমানে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে তার তথ্য তুলে ধরেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। রবিবার (৪ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী এ তথ্য তুলে ধরেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ভূমিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী যেসব সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে তা হলো, অনলাইনে শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, অনলাইনে শতভাগ হোল্ডিং ডাটা এন্ট্রিকরণ, শতভাগ ই-নামজারি আবেদন গ্রহণ ও ই-নামজারি নিষ্পত্তি, ভূমি রেকর্ড ডিজিটাইজেশনের আওতায় অনলাইনে খতিয়ান সরবরাহ, অনলাইনে জলমহাল ইজারা কার্যক্রম সম্পাদন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বর্তমানে ৫ হাজার ২৬৫টি সম্পত্তি বিনিময় মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। দেশের ২৫টি জেলায় সম্পত্তি বিনিময় মামলা চলছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৮৫ মামলা চলছে।
হাজী সেলিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, সারাদেশে বর্তমানে নদী সিকস্তি জমির পরিমাণ ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৮৪ দশমিক ৩৪৪৩ একর। এ জমির জন্য কোনও খাজনা আদায় করা হয় না।
পাঁচ বছরে ২০ লাখ পর্যটক
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন খাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বার্ষিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে আসেন ১৯ লাখ ৯১ হাজার ২৩০ জন পর্যটক। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ১২ হাজার ৭৮৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ছয় লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন। এতে ৩ হাজার ২২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।