লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাংলার প্রকৃতিতে এখন ভরা বর্ষা মৌসুম। হঠাৎ করেই নামে বৃষ্টি। এই বর্ষায় গরম থেকে স্বস্তি পেলেও, হঠাৎ বৃষ্টি কিন্তু বেশ বিরক্তিকর। এ সময় সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হয় ভেজা জামাকাপড় শুকাতে। এদিকে কাজের প্রয়োজনে রোজই বাইরে বেরোতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, সঙ্গে ছাতা থাকলেও পোশাক ভিজে যায়। আবার বেশিক্ষণ ভেজা থাকলে জামা-কাপড় থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। কাচলেও সে গন্ধ যেতে চায় না। তবে বর্ষায় ভেজা কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর করার বেশ কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই—
লেবুর রস ব্যবহার করুন
আমরা সবাই জানি, লেবুর সুগন্ধ সতেজতার অনুভূতি দেয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মের দিনগুলোতে এই লেবুর গন্ধ আরও সতেজতা জোগায়। তবে বর্ষায় আপনি যে বালতিতে কাপড় ভিজিয়ে রাখছেন, তাতে একটু লেবুর রস দিন। এতে আপনার জামাকাপড় ভেজা গন্ধ হবে না। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির কারণে আলমারিতে হওয়া স্যাঁতসেঁতে গন্ধও কাপড়ে উঠবে না।
বাইরের বাতাসে কাপড় শুকাতে দেবেন না
বর্ষাকালে আপনার কাপড় বাইরের বাতাসে শুকানো এড়িয়ে চলুন। আপনি যে কোনো রুমে একটি কাপড়ের স্ট্যান্ড রাখুন, এটি শুকানোর জন্য কাপড় রাখুন এবং ফ্যান চালিয়ে দিন। জামাকাপড় ফ্যানের হাওয়ায় ১০০ শতাংশ শুকিয়ে যাবে এবং বর্ষার আর্দ্রতা থাকবে না।
ভিনেগার ও বেকিং সোডার ব্যবহার
লেবুর মতোই জামাকাপড় ধোয়ার সময় একটু ভিনেগার বা বেকিং সোডা মেশান। এতে আপনার জামাকাপড়ে বর্ষাকালের বাজে গন্ধ হবে না। আগের মতোই সুগন্ধি দিতে শুরু করবে।
সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন
অনেক সময় অল্প টাকা বাঁচানোর লোভে আমরা বাড়িতেই সব কাপড় ধোয়ায় ভুল করে থাকি। কিন্তু এই কাজ করা একেবারেই ঠিক নয়। বাড়িতে নির্দিষ্ট কাপড়গুলো ধুতে জানতে হবে। জরির কাজের কাপড় ড্রাইক্লিন করতে দিন। বাড়িতে জরির কাপড় ইস্ত্রি করতে চাইলে তার ওপর একটি সুতির কাপড় বিছিয়ে ইস্ত্রি করুন।
এ ছাড়া বৃষ্টির সময় সিল্ক, শিফন, জর্জেট, ক্রেপজাতীয় শাড়িগুলো পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে লবঙ্গ পিষে কাপড়ের ব্যাগে রাখুন। আর্দ্রতা ও বাতাসের সংস্পর্শে সিল্কের শাড়ি কালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়িতে এসব কাপড় ধোয়ার সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সিল্কের কাপড় বালিশের কভারে বা সুতির কাপড়ে মুড়িয়ে রাখলে অনেক ঋতু পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।