লাইফস্টাইল ডেস্ক : তীব্র গরমে যখন অতিষ্ঠ জনজীবন। এ সময়ে একটু স্বস্তির জন্য অনেকেই আরামের নরম বিছানা ছেড়ে মাটিতে ঘুমাতে বেশি শান্তি অনুভব করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, মাটিতে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না ক্ষতিকর?
নরম বিছানা ছেড়ে মাটিতে ঘুমালে ঠান্ডার পরশ মেলে। তবে বিছানার গরম আবহাওয়া থেকে মুক্তি পেলেও নরম বিছানার শূন্যতায় অনেকেই মাটিতে ঘুমাতে কষ্ট পান।
তবে যতই আপনি কষ্ট পান না কেন, আরামের চেয়ে শান্তির পরশই আপনার কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে গরমের এ সময়।
এতে কিন্তু আপনার লাভই হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তারা বলছেন, একটু কষ্ট হলেও মাটিতে ঘুমের অভ্যাস করতে পারলে শরীরে নানা উপকারিতা মেলে।
চলুন জেনে নিই নিয়মিত মাটিতে ঘুমানোর কিছু উপকারিতার কথা-
১। মেরুদন্ড সোজা থাকে: মাটি বা মেঝেতে সোজা হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকে। ফলে যাদের পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে উপকার মেলে।
২। পিঠ, কাঁধ ও কোমড়ের ব্যথা কমে: নিয়মিত মেঝেতে ঘুমানোর ফলে পিঠ, কাঁধ ও কোমরের ব্যথাও কমতে শুরু করে।
৩। ঘাড়ের ব্যথা কমায়: ঘুমের সময় ঘাড় সোজা করে না রাখলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে আপনি যদি আঁকাবাঁকা হয়ে ঘুমান তাহলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়। কারণ, এ ক্ষেত্রে ঘাড় সোজা রাখা সহজ হয়।
৪। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়: শরীর সুস্থ রাখার জন্য রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকা জরুরি। আপনি যদি মাটি বা মেঝের মতো শক্ত জায়গায় ঘুমানোর অভ্যাস করেন, তাতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। তাই মেঝেতে ঘুমালে উপকার পাওয়া যাবে।
৫। ঘুমের সমস্যা দূর হয়: গরমের সময় অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া বা গভীর ঘুম না হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। এ ক্ষেত্রে মেঝেতে ঘুমানোর অভ্যাস আপনাকে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
তবে খেয়াল রাখবেন, মাটিতে বা মেঝেতে নিয়মিত ঘুমানোর কারণে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঘুমানোর আগে নির্দিষ্ট ঘুমানোর জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন। ঘরের মেঝে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়। এ কারণে অনেককেই সর্দি-কাশি-ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগতে দেখা যায়। এ সমস্যার সমাধান পেতে মাটি বা মেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে নিন। এর ওপর পাতলা কাপড় বা নকশি কাথা বিছিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।