জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সংস্থাটির সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন গাজীপুরের সাবেক আলোচিত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তিনি দুদক কার্যালয়ে ছিলেন। এসময় তার কাছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে নানা ধরনের বক্তব্য জানতে চান অনুসন্ধান কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদকসহ বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে যেসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তার সবই মিথ্যা বলে আমি দুদককে জানিয়েছি। আমার নামে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়েছে। আমার সই ছাড়া কে বা কারা ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলেছে সেটা জানতে চাই, আমি ন্যায় বিচার চাই।
জাহাঙ্গীর বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তাদের ঠিকানা বা হদিস নেই, কাগজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। দুদক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। গত ২১ মে তারা আমাকে ডেকেছিল। মঙ্গলবারও আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছিল। আমি দুদক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের সাজানো অভিযোগ করা হয়েছে। আমি মেয়র থাকাকালে মন্ত্রণালয় ৬ থেকে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই জায়গায় কাগজের মধ্যে লিখে দিয়েছে, সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ। অভিযোগকারী হিসাবে কারও নাম নেই। তবে দুদক আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। দুদক কর্মকর্তা বলেছেন, অভিযোগ এসেছে তা তারা যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসাবে আমার কাছে জানতে চান। আমি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। আমি বলেছি, অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। সর্বশেষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেখানো হয়েছে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একজন মেয়রের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হলে সিইও ও মেয়রের যৌথ সই লাগে। আমার সই গোপনীয় কিছু নয়। আমার পাসপোর্ট আছে, ভোটার আইডি কার্ড আছে। তাছাড়া সরকারের কাছে ও সিটি কর্পোরেশনের জন্য আমার নির্ধারিত সই আছে। আমি দুদককে বলেছি, আমার যে রাষ্ট্রীয় সই আছে তা যাচাই বাছাই করা হোক, প্রয়োজনে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হোক। বা যারা বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত নেওয়া হোক।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিরেই কি আপনাকে হয়রানি করতে এমন অভিযোগ করা হয়েছে-সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে গাজীপুরের লাখ লাখ মানুষ আছে। আমার হয়রানির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন।
গাজীপুরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী আজমত উল্লা গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হচ্ছেন-এ ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি অন্তত একটা দায়িত্ব পেয়েছেন। নগর উন্নয়নের জন্য তিনিও কাজ করবেন। কেউ যদি নগর উন্নয়নে কাজ করেন তাহলে তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। তিনি আমার বড় ভাই। আমি চাই তিনি তার কর্মদক্ষতা দিয়ে গাজীপুরের মানুষের জন্য ভালো কিছু করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।