আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সঙ্গে বিভেদ ঘোচাতে এক এক করে এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যেরে আরব দেশগুলো; এই দৌড়ে শামিল সৌদি আরবও। আর তা যে অনেক দূর এগিয়েছে, তা স্পষ্ট হল মোহাম্মদ বিন সালমানের কথায়। যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তার দেশ একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।
সৌদি যুবরাজের বিরল এই সাক্ষাৎকার বুধবার সম্প্রচার হয়েছে। একই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বৈরী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি।
একশ বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তা এক সঙ্কট হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। মুসলমান প্রধান আরব দেশগুলো ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানে মেনে নেয়নি। এই বিরোধ যুদ্ধেও গড়ায় একাধিকবার।
তবে এখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকটি আরব দেশ এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। সৌদি আরব এতদিন অন্য অনেক আরব দেশের মতো ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতার কারণে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অনিচ্ছুক ছিল। তবে গত বছরের শেষ দিক থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চাপ আছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলে একটি বড় আঞ্চলিক পরিবর্তন ঘটবে।
তবে ফক্স নিউজের সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় সৌদি আরব এখনও ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি আশা করেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি এমন একটি জায়গায় পৌঁছবে, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করবে।
ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র চায়, তাদের সেই দাবি সমর্থন করে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলো। সংবাদ সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।