লাইফস্টাইল ডেস্ক : ৪০ বছর বয়সী মিনহাজ সাহেব। প্রতিদিন ঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকেন। কিছুদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করছেন, একটু বেশি হাঁটাচলা করলে, তাঁর বুকে কেমন জানি লাগে, মানে বুক ধড়ফড় করে। এ সময় মিনহাজ সাহেব কিছুটা ভড়কে যান। তিনি মনে মনে ভাবেন এই বুঝি খারাপ কিছু হয়ে গেল। শুধু মিনহাজ নন, এই ধরণের সমস্যায় অনেকেই পড়েন।
আমাদের শরীরের হৃদ্স্পন্দনের একটি ছন্দ আছে। সুস্থ মানুষের হার্টবিট ৬০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে। তবে এই মাত্রার ছন্দপতন হলেই হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা দেখা যায়। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া বলা হয়। বুক ধড়ফড় করলে তাৎক্ষণিক বিশ্রাম নিতে হবে। আসুন জেনে নিন, বুক ধড়ফড়ের সমস্যা থেকে দূরে থাকার কিছু উপায়:
১. সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ঘুমের বিকল্প নেই। কারণ সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে ঘুম। তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে বা ঘুম কম হলে বুকে ধড়ফড়ানি বাড়তে পারে।
২. বুক ধড়ফড় করার একটি পরিচিত কারণ দুশ্চিন্তা। আমাদের প্রতিদিনের কাজে প্রায় সময় অনেক বেশি চাপ নিতে হয়। এই চাপের প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। অনেক সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে শুরু হয় অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা। প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা, শরীরচর্চা করলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারেন।
৩. স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে হৃদস্পন্দনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
৪. অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। শরীরের সুস্থতার জন্য বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন। শরীরের ওজন বেশি হলে কিছুক্ষণ কাজ করার পর হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যেতে পারে। তাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।