লাইফস্টাইল ডেস্ক : হঠাৎ হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরে? হাঁটতে হাঁটতে এমন পায়ের পেশিতে টান ধরে, যা পরের স্টেপ ফেলতে কষ্ট হয়। কখনও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পায়ে হঠাৎ টান ধরে। এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হয়, কীভাবে এই সমস্যাকে এড়াবেন? রইল টিপস।
শিরায় টান ধরা মোটেও ভাল বিষয় নয়। রোজকারের জীবনে অনেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হন। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে টান ধরার সমস্যা বাড়ে।
প্রায়শই পেশিতে টান ধরলে বুঝবেন দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হচ্ছে না। শরীরচর্চা না করলে, দেহে তরলের ঘাটতি তৈরি হলে পেশিতে টান ধরতে পারে। এই সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন, রইল টিপস।
শরীরে ইলেক্ট্রলাইট এবং মিনারেলের অভাবে পেশিতে খিঁচুনি ও টান ধরে। দেহে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। এক্ষেত্রে আপনি ডাবের জল খান। এতে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
পায়ে টান ধরলে পেশিকে শিথিল করা ভীষণ জরুরি। তখন বেশি নড়াচড়া করবেন না। বরং, যে পায়ে টান ধরেছে সেটি লম্বা করে টানটান করে বসুন। এবার যে অংশে টান ধরেছে তার উপর হালকা হাতে মালিশ করুন।
পেশিতে টান ধরে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। টান ধরা অংশের উপর ম্যাসাজ করার পাশাপাশি ওই স্থানে গরম সেঁক দিন। কোল্ড কমপ্রেসও করতে পারেন। আরাম না পাওয়া পর্যন্ত এই টোটকা কাজে লাগান।
টান ধরা স্থানে ম্যাসাজ করলে পেশি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ব্যথা থেকে যায়। তাই পেশির চাপ একটু কমলে ধীরে ধীরে পা স্ট্রেচিং করুন। থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে, কোনও শক্ত জিনিসের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ান।
টান ধরার পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খান। পাশাপাশি ডায়েটে কলা, রাঙা আলু, অ্যাভোকাডো, কমলালেবু, বাদাম ও বীজ এবং সবুজ শাকসবজি রাখুন। এসব খাবারে পটাশিয়াম রয়েছে, যা পেশিতে টান ধরার ঝুঁকি কমায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।