ঘাম একটি প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তিয় ফাংশন যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সর্বোত্তম স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিছু মানুষ অতিরিক্ত ঘামেন যা হাইপার হাইড্রোসিস নামেও পরিচিত, যা তাদের জীবনযাত্রার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অত্যধিক ঘাম, বা হাইপার হাইড্রোসিস, পুরো শরীরে বা দেহের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা যেমন হাতের তালু, পায়ের পাতা, আন্ডারআর্ম বা মুখে হতে পারে। যদিও অত্যধিক ঘাম প্রতিরোধ করা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে, তাই নিত্যদিনের জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন এবং কৌশল অবলম্বন করলে তা এই সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পেতে যা যা করা উচিৎ-
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
নিয়মিত গোসল করা, ভালো মানের ডিওডোরেন্ট ব্যবহার, পরিষ্কার ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান ঘামের গন্ধকে কমিয়ে দিতে পারে।
উপযুক্ত পোশাক পরিধান করা
তুলা, লিনেন, সুতি বা প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন যাতে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করা
স্ট্রেস ও উদ্বেগ অত্যধিক ঘামের কারণ হতে পারে, তাই গভীর শ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা ধ্যানের মতো মন শিথিলকরণ কৌশলগুলি অনুশীলন করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম উৎপাদনকারী কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা
অতিরিক্ত ঘাম হয় এরকম সম্ভাব্য ট্রিগারগুলি সনাক্ত করুন এবং এড়িয়ে চলুন, যেমন মশলাদার খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং ধূমপান।
হাইড্রেটেড থাকা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
স্বাস্থ্যকর ওজন মেইনটেইন রাখা
অনেক সময় স্থূলতা অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি সুষম ডায়েট মেনে চলার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখলে এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন করেও যদি হাইপার হাইড্রোসিস বা অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি না মেলে সে ক্ষেত্রে কোনো মেডিকেল কন্ডিশন বা রোগ আছে কি না তা খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।