লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের ব্যস্ত জীবনধারা নানাভাবে স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সময়ের সাথে সাথে, বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং ফিটনেসের দিকে সরে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির ব্যাপারে যেমন খাদ্যের উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন,তেমনি রান্নার জন্য কী তেল ব্যবহার করা হচ্ছে তাও গুরুত্বপর্ণ। বাজারে অনেক ধরনের রান্নার তেল পাওয়া যায়। তবে কোন তেলে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায় তা বেছে নিতে হবে আপনাকেই।
রান্নার স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েলের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গায় রান্নার কাজে নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যে এটি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর?
নারকেল তেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা মাঝারি-চেইন-ট্রাইগ্লিসারাইডস (এমসিটি) নামক অণুর আকারে থাকে। এই উপাদান শরীরে ক্যালরি ঝরায়। যার ফলে এই তেল ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে, অলিভ অয়েলের তুলনায় নারকেল তেলের স্মোকিংপয়েন্ট তুলনামূলকভাবে বেশি। নারকেল তেল ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা পর্যন্ত গরম করা যায়।
নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিড নামে এক ধরনের একটি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।। নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। একইভাবে, লরিক অ্যাসিড কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।
অলিভ অয়েল এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমায়। এই তেল স্বাস্থ্যকর রান্নার তেলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে প্রমাণিত । অলিভ অয়েলে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করতে পারে। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এমন এক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে, টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। তবে অলিভ অয়েল ২৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার বেশি গরম করা উচিত নয়। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় নাজেহাল? ৫ টোটকা মানলেই যন্ত্রণা থেকে উপশম পাবেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।