আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ায় এখন কারও ধনী হওয়ার প্রতীক নতুন হাতব্যাগ বা দামি ঘড়িতে ফুটে ওঠে না। দেশটিতে বর্তমানে এক টুকরা পাউরুটিই প্রাচুর্যের প্রতীক।
রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএফএ)-এর তথ্যমতে দেশটিতে ময়দা এতই দামি বস্তুতে পরিণত হয়েছে যে এখানে পাউরুটি খাওয়া আর ধনী হওয়া সমার্থক হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (জুন ২৮) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন অর্থপুষ্ট অলাভজনক গণমাধ্যম আরএফএ। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন, ‘দেশটিতে এখন সবচেয়ে অবস্থাপন্ন পরিবারগুলোই বাইরে থেকে আমদানি করা ময়দা কেনার ক্ষমতা রাখে।’
উত্তর কোরিয়ায় ভাতও একটি দামি খাবার। দীর্ঘদিন ধরে ধনীদের জন্য বিলাসি খাবার হিসেবে ভাতকে বিবেচনা করা হচ্ছে দেশটিতে। তবে এখন ময়দার দাম চালের দামের চেয়ে তিনগুণ বেশিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে আরএফএ। বেশিরভাগ উত্তর কোরিয়ান ভুট্টার মতো শক্ত, মোটাদানার শস্য খেয়ে জীবনধারণ করেন।
‘ময়দার দাম এভাবে হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় এখন রুটি, পাউরুটি, ডাম্পলিং ইত্যাদি খাবার কেবল উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, অতিধনীরাই খেতে পারেন। তাই ময়দা থেকে জাত যেকোনো খাবারই এখন ধনাঢ্য হওয়ার প্রতীক,’ আরএফএ-কে বলেছেন ওই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি।
আরএফএ-এর প্রতিবেদনের তথ্যমতে, উত্তর কোরিয়ায় ২০১৯ সালে প্রতি কেজি ময়দার দাম ছিল ৪০০০ থেকে ৪৬০০ ওন (৪.৪৪ থেকে ৫.১১ মার্কিন ডলার)। কোভিড-১৯ মহামারির পর তা বেড়ে ৩০০০০ ওন (৩৩ ডলার বা প্রায় ৩০০০ টাকা) পর্যন্ত পৌঁছায়। বর্তমানে দেশটিতে প্রতি কেজি ময়দা ১৮০০০ ওন বা ২০ ডলারে (১৮৬৯ টাকা) বিক্রি হচ্ছে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময় দেশটিতে ময়দার আমদানিও বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সালে কিছুদিনের জন্য সীমান্ত খুললেও চীনে নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়ানো শুরু হলে আবারও তা বন্ধ করে দেয় কিম জং-উনের দেশ।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র তথ্য অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া বর্তমানে আনুমানিক আট লাখ ৬০ হাজার টন খাবার ঘাটতিতে ভুগছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।