স্পোর্টস ডেস্ক : সব জল্পনা-কল্পনার ইতি ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। অথচ এবারের দলবদলে মেসিকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন ছিল তার বার্সেলোনায় ফেরা নিয়ে। শেষমেশ কেন সেটা হয়নি সেটাই এবার জানালেন দলটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো।
স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদানের আগে বার্সেলোনার হয়ে চার বছর খেলে গিয়েছেন ডেকো। ছিলেন নিজের সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। লিওনেল মেসি–জাভি হার্নান্দেজদের সঙ্গে ন্যু ক্যাম্পে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন দারুণভাবে।
দীর্ঘ সময় পর আবারও সেই পুরনো ঠিকানায় ফিরলেন ডেকো। তবে এবার খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ডেকো ফিরেছেন বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে। আর দলে যোগ দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে বার্সাকে নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়েছেন ক্লাবটির সাবেক এই তারকা। জানিয়েছেন মেসিকে ফেরাতে না পারার কারণও।
এ প্রসঙ্গে ডেকো বলেন, ‘লিও আমার বন্ধু। আমি মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে কথা বলি। এখন যদিও কম কথা হয়। কারণ সে অনেক দূরে থাকে। আমরা সবাই লিওকে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। সেই পরিস্থিতি কী ছিল, তা আমরা জানি। সে বার্সা ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। আমি তাকে খুশি দেখতে চাই এবং চাই সে মিয়ামিতে উপভোগ করুক। বার্সেলোনা ও লিও–ভক্ত হিসেবে আমি তাকে শুভকামনা জানাচ্ছি।’
মেসির প্রসঙ্গ ছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ডেকো। বার্সায় তার ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমি সব সময় বার্সেলোনায় খেলার স্বপ্ন দেখতাম। আর এখন আমি বিশেষ একটি দায়িত্ব নিয়ে ফিরেছি। এই দায়িত্ব অনেক বড়।’
মেসির বার্সা ছাড়ার পর বেশ ভেঙেই পড়েছিল ক্লাবটা। জাভির আগমনের পর থেকে আবার নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করেছে কাতালান ক্লাবটি। গত মৌসুমেই জিতেছে লা লিগার শিরোপা। তবে সেখানেই শেষ নয়, অতীত ঐতিহ্য ফেরাতে বদ্ধপরিকর ক্লাবটি। সেক্ষেত্রে ক্লাবের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ডেকো।
তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে জেতা। আমরা চাই একটি প্রতিযোগিতামূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড। যেখানে জেতা ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য থাকবে না। আমার ফুটবল দর্শন বার্সার মতোই, বলের দখল রেখে খেলা। পাশাপাশি দলে উঁচু মানের খেলোয়াড়দের রাখা, যাদের আলাদা আলাদা সামর্থ্য আছে। আমি যখন খেলা দেখতে যাই, তখন উঁচু মানের খেলোয়াড়দের দেখতেই বেশি পছন্দ করি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।