লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালের নাশতা অনেকেই অবহেলা করেন। মূলত সকালে খেতে ভালো লাগে না বা ঘুম থেকে দেরি করে উঠে দ্রুত কাজের জন্য বের হয়ে যায়। এসবের ফলে আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। আর আমাদের অসুস্থও করে দেয় এসব অভ্যাস।
মনে রাখবেন সকালের নাশতা আমাদের সারাদিনের শক্তির যোগান দেয়। আর রাতের খাবারের পর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকা হয়। এর চেয়ে আরও বেশি সময় না খেয়ে থাকলে এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া নষ্ট করে দেয়। তাই চিকিৎসকরা সকালের খাবারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
যারা সকালের নাশতা মিস করেন তারা সারাদিন ক্লান্ত ও দুর্বলতা অনুভব করেন। অনেকে মনে করেন সকালের নাশতা না খেলে ওজন কমে। আসলে এমন কিছুই হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাশতা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাশতা বাদ দেয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যায়।
এ কারণে সকালের নাশতা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। এ ছাড়া পানীয়তে আপনি পান করতে পারেন গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি।
যদি সম্ভব হয় সকালের নাশতা সকাল ৯টার মধ্যে কমপ্লিট করার চেষ্টা করুন। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাশতার সময় ঠিক করা উচিত। মাথায় রাখবেন, রাতের খাবার ও সকালের নাশতার মধ্যে যেন ১২ ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়।
সূত্র: হেলথলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।