লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমানে মানুষের চুলে নানা রং দেখতে পাবেন। কালো চুলের কদরও কম নয়। তাইতো কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা।’ অনেকের কালো চুল আবার আস্তে আস্তে লাল হয়ে যায়। অনেকে খেয়াল করে না। তবে অনেক কারণেই কালো চুল এমন লাল হয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নিই।
কেন হয় লালচে ভাব?
– কলকাতার রূপবিশেষজ্ঞ ব্রিজেট জোনস বলেছেন, ত্বকের মতো আমাদের চুলেও মেলানিন থাকে। যার প্রভাবে চুলের রং কালো হয়। চুলের রং দুটি উপাদানের ওপর নির্ভর করে। দুই ধরনের মেলানিন
১. ইউমেলানিন।
২. ফিওমেলানিন।
যাদের চুলে ইউমেলানিনের পরিমাণ বেশি তাদের চুলের রং বেশি কালো হয়। এদিকে চুলে ফিওমেলানিন বেশি হলে চুলের রং অল্প লালচে হয়। তাদের ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই চুল লালচে হয়।
– চুলে মেলানিন কম থাকলে তখন হয়ে ওঠে সাদা। অনেকের অল্প বয়সে চুল ‘পেকে’ যায়। সাদার মধ্যেই আবার লালচে আভা দেখা যায়। শরীরে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন হলেও চুলের রঙে প্রভাব পড়তে পারে। তখনও দেখা দেয় লালচে ভাব। অন্যান্য কারণ, যেমন যারা বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করে তাদের চুলও লালচে হয়ে আসে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চুলকে ‘সান ব্লিচড’ করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুলে মাঝে মাঝে তামাটে রংও দেখা যায়।
– কিছু এলাকার পানিতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকলে এর প্রভাবে চুলের মেলানিন উৎপাদন কমে যেতে পারে। এর ফলে চুল রুক্ষ এবং দুর্বল হয়ে যায়। তখনো চুল লালচে দেখায়।
– কিছু শ্যাম্পু বা প্রসাধনী চুলকে রুক্ষ করতে পারে। খুব বেশি ব্লো ড্রাই করলেও চুল রুক্ষ ও লালচে দেখায়।
যা করতে পারেন
– হরমোনের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
– চুলের ধরন দেখে শ্যাম্পু কিনুন। শ্যাম্পুতে সালফেট, পার-অক্সাইড, প্যারাবেন বেশি আছে কি না খেয়াল করুন।
– চুল মজবুত রাখতে বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
– ত্বকের মতো চুলে দিতে পারেন ‘ইউভি প্রোটেকশন’ সানস্ক্রিন । তাই বাইরে ঘুরলে এর প্রভাব চুলে পড়বে না।
– পানিতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি হলে চুল নরম করতে ‘সফটনার’ ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলের রং
চুলে রং করানোর আগে আমাদের বিবেচনা করা উচিত, কোথায়, কখন রং করাচ্ছি এবং করানোর পর এর যত্ন। রং করানোর ছয় মাসের মধ্যে অন্তত একবার চুল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যত্ন
কিছু নিয়ম মানলে চুলের জন্য বেশ উপকার পাবেন। যেমন :
– রুক্ষ চুলে শ্যাম্পু করার আগে ভালো করে তেল দিয়ে নিন।
– শ্যাম্পু করার সময় একবার শ্যাম্পু করা উচিত। কারণ, দুই বা তিনবার করলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
– কন্ডিশনার লাগানোর আগে তোয়ালে দিয়ে চুল একটু শুকিয়ে নেওয়া ভালো।
– কন্ডিশনার চুলে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে পাঁচ-সাত মিনিট রাখুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন।
– ব্লো ড্রাই না করে তোয়ালে দিয়ে চুল শুকিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। ব্লো ড্রাই ব্যবহার করলে আগে তোয়ালে দিয়ে চুল কিছুটা শুকিয়ে নিন। এরপর আট সেন্টিমিটার দূরে ড্রায়ারটি রেখে চুল শুকিয়ে নিন। এরপর চুলের সিরাম ব্যবহার করুন।
সূত্র : আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।