লাইফস্টাইল ডেস্ক : পেটে গ্যাসের সমস্যা এখন প্রতি বাড়িতেই রয়েছে। বিশেষত, বাঙালিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। এবার গ্যাস সাধারণত তৈরি হয় অন্ত্রে (Gut)। সকলের শরীরেই গ্যাস তৈরি হয়। তবে কেন কিছু মানুষের শরীরে বেশি তৈরি হয় গ্যাস? এর চিকিৎসা কী? উত্তরে চিকিৎসক।
খাবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাসের (Stomach Gas) সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই লেগে থাকে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় এই মানুষগুলির গ্যাসের পাশাপাশি পেট খারাপ, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা মাঝেমাঝেই লেগে থাকে। এবার মুশকিল হল, গ্যাস হওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষই খুব অস্বস্তিতে ভোগেন। তাঁরা খেতে চান না। অনেক ক্ষেত্রে কম খান। তাই এই মানুষগুলির পেটের ও অন্ত্রের খেয়াল (Gut Health) রাখতে হবে।
বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে এই মানুষগুলি খাবার খাওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। তাঁরা ভালো মন্দ খাবার খাওয়ার লোভও সামলাতে পারেন না। আবার খাবার খাওয়ার আগে ও পরে সেই গ্যাস নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেন। এবার এই অভ্যাস কিন্তু একবারেই ভালো নয়। কারণ খাওয়ার আগে-পরে কোনও বিষয় নিয়ে ভাবলে আদতে শরীর ও মন দুটোই খারাপ হয়।
আসল কথা হল পেটের গ্যাস (Stomach Gas) নিয়ে হাজার প্রশ্ন থাকলেও মানুষের কাছে উত্তর নেই। তাই এবার উত্তর খোঁজার জন্য আমরা প্রশ্ন রাখলাম কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পালের কাছে।
কেন গ্যাস হয়?
এই প্রসঙ্গে ডা: পাল জানালেন, আসলে আমরা যা খাবার খাই তার সমস্তটা হজম হয় না। এবার সেই হজম না হওয়া খাবার বৃহদন্ত্রে পৌঁছালে সেখানে বিপাক ক্রিয়া চলতে থাকে। এবার সেই বিপাকের ফলেই তৈরি হয় গ্যাস। এক্ষেত্রে সব মানুষেরই গ্যাস হয়। কোনও মানুষ তা বুঝতে পারেন, তো কোনও মানুষ তা পাত্তা দেন না।
কেন কিছু মানুষের বেশি হয়?
ডা: পালের কথায়, কিছু মানুষের গ্যাস বেশি হয় (Excessive Stomach Gas)। আসলে এক্ষেত্রে দুধ (Milk) জাতীয় খাবার অনেকের সহ্য হয় না। এই সমস্যার নাম হল ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স (Lactose Intolerance)। এবার সেই কারণেও গ্যাস হয়। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে বিনস, বরবটি জাতীয় খাবারও অনেকের সহ্য হয় না। এই কারণেও গ্যাস হয়। আবার ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো খাবার থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। মূলত খাবার থেকেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
কী কী সমস্যা হয়?
ডা: পাল বলেন, এ দেশের মানুষ গ্যাস নিয়ে খুব ভাবেন। তবে চিকিৎসা শাস্ত্রে কিন্তু এই গ্যাসের সমস্যা নিয়ে বেশি চিন্তা করা হয় না। কারণ বেশিরভাগ সময়ই এই সমস্যা অত্যন্ত নিরিহ হয়ে থাকে। এবার দেখা গিয়েছে যে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, খিদে না পাওয়া, খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকে।
খাওয়াদাওয়া কতটা বদল দরকার?
ডা: পাল জানালেন, খাবারই সমস্যার মূলে। তাই খাবার খাওয়ায় তো বদল আনতেই হবে। এক্ষেত্রে কোন খাবার থেকে সমস্যা হচ্ছে, এই বিষয়টি বুঝে নিতে হবে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে নিজেকে বুঝতে হবে কোন খাবার খেলে গ্যাস হচ্ছে। তারপর সেই খাবার থেকে দূরে সরে যেতে হবে। তবেই ভালো থাকবেন।
গ্যাসের ওষুধ
ডা: পালের কথায়, গ্যাসের জন্য বেশিরভাগ মানুষই খেয়ে থাকেন কিছু অ্যান্টাসিড। তবে এটা গ্যাসের ওষুধ নয়, বরং অ্যাসিডিটি কমায়। তবে পরোক্ষে কিছুটা কাজ হয়। এছাড়া গ্যাসের ওষুধও রয়েছে। তাই চাইলে কোনও মানুষ সেই ওষুধ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে গ্যাসের ওষুধ অবশ্য খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র : এই সময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।