জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আমতলীতে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় দা দিয়ে বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ জুন) রাতে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম জাহিদুল ঘরামী। তিনি উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানায়, ২০২১ সালে জাহিদুল ঘরামীর সঙ্গে পটুয়াখালীর গেরাখালী এলাকার নাসরিন বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সাত মাসের ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জাহিদুল এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
গত জানুয়ারি মাসে গোপনে ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। জাহিদুল নাসরিনকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় জাহিদুল স্ত্রীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে রবিবার মধ্যরাতে নাসরিন দা দিয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন।
জাহিদুলের চিৎকারে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ রাতেই নাসরিনকে আটক করেছে।
জাহিদুলের বাবা বলেন, ‘ছেলের এ অবস্থার জন্য ছেলের বউ দায়ী। তার শাস্তি দাবি করছি।’ স্ত্রী নাসরিন বেগমের অভিযোগ, ছয় মাস আগে স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে চাপ প্রয়োগ করছিলেন। মেনে না নেওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নাসরিনকে আটক করে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।