লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্রিন টি পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর পানীয়। এতে এন্টি- অক্সিডেন্ট ইজিসিএইচ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে, যা চায়ের সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান। এর উপস্থিতি গ্রিন টি-কে ওষধি পানীয়তে পরিণত করেছে।
এ-ছাড়াও গ্রিন টি-তে রয়েছে পলিফেনল, যা শরীরে ফ্রি-রেডিক্যাল তৈরিতে বাধা দেয়, ফলে দেহকোষগুলো সুরক্ষা পায়। গ্রিন টি-তে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা ব্রেনকে উদ্দীপ্ত করে। ফলে শরীরে চাঙ্গা ভাব আসে। এর মধ্যে ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন অন্যতম।
গ্রিন টি স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে
সাহায্য করে এবং আলঝেইমার্স ডিজিজ প্রতিরোধ করে ।
গ্রিন টি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। এতে রক্তের সুগার লেভেল কমে আসে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এ-ছাড়া গ্রিন টি টোটাল কোলেস্টেরল ও ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়, উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। ফলে কমে আসে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। গ্রিন টি মেটাবলিক রেট বা বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায় এবং শরীরের জমানো ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
গ্রিন টির সাথে রয়েছে দীর্ঘজীবনের সম্পর্ক। ৪০,৫৩০ জন জাপানির ওপর ১১ বছর গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪-৫ কাপ গ্রিন টি পান করেছেন, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। সুতরাং প্রতিদিন ৩-৪ কাপ গ্রিন টি পান করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।