আজকের তরুণ-তরুণীরা আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, তা সে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে হোক, স্বাস্থ্য বা মানসিক রোগ নিয়ে হোক অথবা প্রেম-সম্পর্ক। সব বিষয়েই সচেতন থাকার চেষ্টা করেন একাংশ। আগের প্রজন্মে যেখানে মানসিক প্রশান্তি খুঁজতে সিগারেটে টান দেওয়ার মতো ক্ষতিকারক অভ্যাসের রমরমা দেখা যেত, তা এখন অনেকাংশে কম। তবে সিগারেটের জায়গা নিয়েছে ‘ফ্রিজ সিগারেট’।
নামের সঙ্গে ‘সিগারেট’ শব্দটি যুক্ত থাকলেও এতে নেই ধোঁয়া, নেই আগুন। আছে কেবল এক বোতল ঠান্ডা পানীয় আর কিছু ক্ষণের জন্য ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি। শব্দটি সমাজমাধ্যমের দৌলতে নতুন প্রজন্মের মুখে মুখে শোনা যায়। আজকের তরুণ সমাজ ধূমপান বা মদ্যপান থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে অনেক ক্ষেত্রেই। তবু মানসিক চাপ তো থেকেই যায়। পড়াশোনা, চাকরি, সম্পর্ক, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা— এই সব কিছুর মাঝে তারা খুঁজে নিচ্ছে একটুখানি বিরতির উপায়। ‘ফ্রিজ সিগারেট’ তাই হয়ে উঠছে একরকম সান্ত্বনার প্রতীক। এক চুমুকে যেন একটু নিঃশ্বাস ফেলা যায়।
সমাজমাধ্যমে নানা রকম মন্তব্যে দেখা যাচ্ছে নতুন প্রথার উল্লেখ। কেউ লিখছেন, ‘কী প্রচণ্ড আরামের, আমার ফ্রিজ সিগারেট’, কেউ বা মন্তব্য করছেন, ‘ডায়েট কোককে সত্যিই ‘ফ্রিজ সিগারেট’ বলা উচিত’। এই পানীয় মূলত অ্যালকোহলমুক্ত সফ্ট ড্রিঙ্ক, ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খাওয়া হয়।
মানসিক চাপের সঙ্গে মোকাবিল করার একটি পন্থা হিসাবে এর জন্ম। দ্রুতগতির বা অতিরিক্ত চাপের পরিবেশে ঠান্ডা, বুদ্বুদে ভরা পানীয় হঠাৎ আনন্দ দিতে পারে। এর ক্যাফিন আসলে মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। সাময়িক ভাবে আরামদায়ক হলেও, কৃত্রিম ভাবে মিষ্টি বা চিনিযুক্ত পানীয়ের উপর মানসিক নির্ভরতা একটি অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। যেখানে মস্তিষ্ক কেবল সেই নির্দিষ্ট রুটিনের সঙ্গে মানসিক প্রশান্তিকে জুড়ে দেবে। যদিও পরিমিত পরিমাণে খেলে, এটি ক্ষতিকারক নয়। দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাসে পরিণত হলে যে কোনও আসক্তির মতোই ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে ফ্রিজ সিগারেটের প্রথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।