মুফতি আশরাফ জিয়া : জাকাত আল্লাহতায়ালার ফরজ বিধান। পবিত্র কুরআনে জাকাতকে সম্পদ বৃদ্ধিকারী ও সম্পদ পরিশুদ্ধকারী আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন, আপনি তাদের ধন-সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদের পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে দেবেন এবং তাদের জন্য দোয়া করুন। নিশ্চয় আপনার দোয়া তাদের জন্য প্রশান্তি। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
জাকাত দিলে সম্পদ কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়। সম্পদ পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। কিন্তু সম্পদের জাকাত আমরা কোথায় দেব?
আমরা চাইলেই যেখানে খুশি, সেখানে জাকাত দিতে পারি না। আল্লাহতায়ালা জাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করার আদেশ করেছেন। কিছু খাত বাতলে দিয়েছেন। আবার কিছু খাতে জাকাত প্রদান করতে নিষেধ করেছেন।
জাকাতের টাকা দরিদ্রের হক। তাদের এ টাকার নিরঙ্কুশ মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি। কাউকে মালিক না বানিয়ে জনকল্যাণমূলক খাতে খরচ করলে তা দ্বারা জাকাত আদায় হবে না।
তাই নির্দিষ্ট কাউকে মালিক না বানিয়ে মসজিদ নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, নদী খনন, রাস্তা মেরামত, নলকূপ স্থাপন ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক কাজে জাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
এ ক্ষেত্রে জাকাত ছাড়া অন্য কোনো নফল দান করার ক্ষেত্রে কেন বাধা নেই। বরং তা সদকায়ে জারিয়ার মধ্যে গণ্য হবে। যার নেকি মৃত্যুর পরও কবরে পৌঁছতে থাকে।
সূত্র: সুরা বাকারা (২): ৬০; তাবয়িনুল হাকায়েক ২/১২০; তুহফাতুল ফুকাহা ১/৩০৭; আলমুহিতুল বুরহানি ৩/২১২
লেখক: শিক্ষক, আল আবরার ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মনিরাজপুর, জামালপুর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।