জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তির পর গেটে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে আসেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
এ সময় মিন্নির বাবা বলেন, আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করতেছি। আমার নির্দোষ মেয়েটি ১ মাস ১৮ দিন (৪৮ দিন) অতি কষ্টে জেলে ছিল।
বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হ’ত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মিন্নি জেল থেকে বের হওয়ার সময় জেল গেটে উপস্থিত ছিলেন মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম, মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর, চাচা মো. দুলাল ও আবু সালেহসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন।
মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমার মেয়ে ছিল সাক্ষী। একটি প্রভাবশালী মহলের কারণে আমার মেয়েকে আসামি করা হয়েছে। আমার মেয়ে তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই দিন সন্ত্রাসীদের সামনে পরেছে। অথচ আমার মেয়েকে আসামি করে দীর্ঘদিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কু’পিয়ে হ’ত্যা করা হয়। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলেকে হ’ত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।
গত ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।