স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুর্দান্ত ক্রিকেটের পেছনে যাদের অবদান ছিলো তাদের মধ্যে একজন ইংলিশম্যান রিচার্ড স্টনিয়ার। যুবাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন দম ফেলার ফুরসত নেই এই ইংরেজের।
নিজে যেমন চনমনে, দলের খেলোয়াড়দেরও তেমনি চনমনে করে রেখেছেন। ফিট তো রেখেছেনই। ফলাফল হিসেবে ধরা দিয়েছে যুবা বিশ্বকাপ! ফাইনাল তো বটেই, আগের ম্যাচগুলোতেও ম্যাচ চলাকালে ডাগআউট থেকে খেলোয়াড়দের ক্রমাগত উৎসাহ আর পরামর্শ যুগিয়ে গেছেন। ফলে নজর কেড়েছেন আলাদাভাবে।
আকবর আলীদের বিশ্বকাপ জয়ের পর আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠল, শিষ্যদের এত বড় অর্জনে কতটা খুশি কোচিং স্টাফের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশের যুবাদের সাথে দায়িত্ব পালনের সময়টাকে জীবনের সেরা সময় মনে করছেন, স্টনিয়ার।
তিনি বলেন- সম্ভবত এটা আমার জীবনের সেরা বারোটি মাস। মাঠ ও মাঠের বাইরে ছেলেরা দুর্দান্ত। তারা অনেক শ্রদ্ধাশীল। আমরা দারুণ একটি পরিবারে পরিণত হয়েছি। ইংল্যান্ড থেকে এসে আমি ভাবতে পারিনি এমন কিছু পাব। আমার জন্য এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত।
আকবর-ইমনদের মত স্টনিয়ারের স্বপ্নও তবে সত্যি হয়েছে বিশ্বকাপ জয়ে! তবে খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে কোনো কার্পণ্য নেই তার। স্টনিয়ার বলেন, এটা শুধু ছেলেদের কারণেই হয়েছে। এখন তাদের উপভোগের সময়। গত ১২ মাস ধরে তারা যে কঠোর শ্রম করেছে, এটা তাদের প্রাপ্য ছিল। এই বিশ্বকাপের প্রতিটি অংশ তাদের প্রাপ্য ছিল।
বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক এই দলের অংশ হতে পেরে স্টোনিয়ার তাই সম্মানিত বোধ করছেন বলে ওই সংবাদ মাধ্যমকে জানান। তিনি দলের সঙ্গে থাকা ১৫ জনের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানান। এছাড়া দেশে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরও ২৪ জন ক্রিকেটার আছে।
তাদের প্রতিও সম্মানের কথা জানান এই কন্ডিশনিং কোচ।
তিনি বলেন, তারা অন্য কোচদের স্যার ডাকে। আমাকে বলে ভাই। তার মানে তারা আমাকে অনেক ভালোবাসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।