জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের পাঁচ দিন পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণে ছাড়া পেয়েছে বলে অপহৃত যুবকের পরিবারের দাবি। তবে মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি পুলিশ অবহিত নয় বলে জানিয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় অপহৃত যুবককে ছেড়ে দেয় বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
অপহৃত ভুক্তভোগী যুবক মোহাম্মদ আতিক (২২) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমুড়া এলাকার আব্দু সালামের ছেলে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, মোহাম্মদ আতিক অপহরণের পর দুর্বৃত্তরা স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। একপর্যায়ে মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা আদায়ের পর সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী আতিকের বাবা আব্দু সালাম বলেন, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় মোহাম্মদ আতিক মোটরসাইকেলযোগে এক বন্ধুকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যান। ফেরার সময় মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পৌঁছলে অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করে রাখে। ওইদিন রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাননি। পরদিন সকালে বিষয়টি স্বজনরা পুলিশকে অবহিত করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আমার ছেলে আতিককে ছেড়ে দিতে মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় মুক্তিপণ না দিলে তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, পুলিশকে অবহিত করার পর স্বজনরাসহ আতিককে উদ্ধারে মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশে পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু তার সন্ধান মিলেনি। সোমবার দুপুরে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে রফাদফার পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা তাকে ছেড়ে দেয়।
আব্দুস সালাম জানান, দুর্বৃত্তরা আতিককে হাত-পা বেঁধে জিম্মি রেখেছিল। মুক্তিপণ আদায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধরও করেছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফিরে আসার পর আতিককে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর পুলিশ অপহৃত যুবককে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখে। কিন্তু তার সন্ধান পাননি। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানের মুখে দুর্বৃত্তরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি পুলিশ অবহিত নন বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, ছাড়া পাওয়া মোহাম্মদ আতিক এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে তথ্য জানতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।